পরিবহনে দেরি করে ফেলায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রপ্তানির জন্য আনা চার টন ইলিশ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে যাওয়ায় রপ্তানি অবৈধ হয়ে গেছে।
কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এগুলো জব্দ করা হয়।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
চাতলাপুর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, খুলনার আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন ভারতের কৈলাশহরে রপ্তানির জন্য রোববার রাতে দুইটি ট্রাকে চার টন ইলিশ নিয়ে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে আসেন। রাতে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে।
রাত ১২টা থেকে নিষেধাজ্ঞা চালু হয়ে যাওয়ায় তিনি সোমবার সকালে এগুলো রপ্তানি করতে পারেননি। কর্তৃপক্ষ সকালে মাছগুলো জব্দ করে।
কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল সিংহ নিউজবাংলাকে জানান, ওই ব্যবসায়ীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ৩ অক্টোবর রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরকারি অনুমোদন নেন। ৪ তারিখ তার রপ্তানির সুযোগ নেই। এ ছাড়া ভারতে ১০ ডলারে প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানির কথা থাকলেও তিনি ৬ দশমিক ১ ডলারে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে চান।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু তার বৈধ কাগজপত্র আছে এবং তিনি পরিবহনে দেরি করে ফেলেছেন তাই মাছ জব্দ করা হলেও জরিমানা করা হয়নি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জব্দ করা মাছ সিলেট কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে এই মাছগুলো কী করা হবে।’