তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে অ্যাকসেস টু ইনোভেট- এটুআই ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে রংপুর বিভাগের সক্রিয় জেলা আইসিটি৪ই অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
‘শিক্ষক সম্মাননা ২০২১: সংকটে নেতৃত্ব’ নামে গত শুক্রবার এ আয়োজন হয়।
দেশের শিক্ষকদের জন্য তৈরি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এটুআই এর ‘শিক্ষক বাতায়ন’ শিক্ষকদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ শিক্ষকদের প্রযুক্তির ব্যবহার ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়ে এটুআই ও গ্রামীণফোন যৌথভাবে কাজ করছে।
এরই মধ্যে শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যবধান কমে এসেছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকরা বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অনলাইন স্কুল চালু করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের এই নেতৃত্বের জন্য দেশব্যাপী সক্রিয় জেলা আইসিটি৪ই অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাসিবুর রশিদ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার উপপরিচালক ও এটুআইয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ‘করোনাকালে স্কুল-কলেজ দীর্ঘকাল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে শঙ্কা ও মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে, তা কমাতে এবং তাদের ঘরবন্দি সময়টাকে কাজে লাগাতে আমাদের শিক্ষকরা অনলাইন ও অফলাইনে গত প্রায় দুই বছর ধরে যে ভূমিকা পালন করে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে না আসতে পারার কারণে তাদের পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারের দৌড়ে পিছিয়ে যাবে, এটি মেনে নেয়া কঠিন ছিল। তাই যেটুকু সুযোগ হাতে ছিল, তাকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করেছি সরকারের নির্দেশনা ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। গ্রামীণফোন ও এটুআইয়ের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত।’
এখন পর্যন্ত এটুআইয়ের শিক্ষক বাতায়নে ৬ লাখ শিক্ষক নিবন্ধন করেছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষককে তাদের অসাধারণ উপস্থাপনা, উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও শিক্ষা বিষয়ক ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট এর জন্য “আইসিটি৪ই অ্যাম্বাসেডর’ মর্যাদা দেয়া হয়।