নাব্য সংকটের কারণে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের বহির্নোঙরে আটকে আছে দুটি বিদেশি জাহাজ।
জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি সোমবার দুপুর ২টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পানামার পতাকাবাহী ‘এমভিসিএস ফিউচার’ জাহাজটি চার দিন ও টুভ্যালুর পতাকাবহী ‘এমভি পাইওনিয়ার ড্রিম’ নামের জাহাজটি তিন দিন ধরে নাব্য সংকটের কারণে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। অথচ বহির্নোঙরে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ প্রবেশের জন্য ড্রেজিং করা রয়েছে। বিদেশি জাহাজ দুটির গভীরতা সাড়ে ৯ মিটারের কম।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে কোনো লাভই হলো না। আমাদের এখন মোটা অংকের টাকা খরচ করে লাইটার জাহাজ পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘এটা মেজর (বড়) সমস্যা না। ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করার পর বন্দরে জাহাজ দুটি আনা হবে। ড্রেজিংয়ের পর বন্দরের ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়েছে।’
রোববার বন্দরের বহির্নোঙরে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শওকত আলী বলেন, ‘মোংলা বন্দর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বহির্নোঙরের ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয়। এতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২৩ হাজার টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯ দশমিক ৩ মিটার গভীরতার এমভিসিএস ফিউচার জাহাজটি মোংলা বন্দরের হিরণ পয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙর করে। পরদিন ১১ হাজার টন সিরামিক পণ্য নিয়ে ৯ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার ‘এমভি পাইনিয়র ড্রিম’ হিরণ পয়েন্টে নোঙর করে।