জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও সাইডলাইনে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার বিষয়ে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, এবারের অধিবেশনে প্রাধান্য পায় করোনাভাইরাস মহামারি। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণ। এতে মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। গুরুত্ব পায় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু।
তিনি বলেন, ‘এ সময় বাংলাদেশকে এসডিজি প্রোগ্রেস পুরস্কার দেয়া হয়। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিল এসডিজি বাস্তবায়নে।’
করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন স্বাভাবিক সময়ের মতো নয়। সংবাদকর্মীরা আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
অবশ্য কয়েকজন আমন্ত্রিত অতিথি গণভবনে সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে গত ১ অক্টোবর রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন সরকারপ্রধান। নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বেঞ্চ উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই মুহূর্তকে ‘আনন্দের’ বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সদর চত্বরে রাজনৈতিক নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ এটিই প্রথম। বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মাননা। সদরদপ্তরে একটি বৃক্ষরোপণ করতে পারা আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
এর আগে এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এলডিসি উত্তরণ নিয়ে সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।