বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রঙের ছোঁয়া, সাজের অপেক্ষায় দুর্গা

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৩৯

ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ধামরাই পৌরসভায় ৩৭টি ও পুরো উপজেলায় ১৯২টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিল্পীরা প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন। মণ্ডপগুলোতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

প্রতিমাশিল্পীদের নিপুণ হাতে অবয়ব পেয়েছে দেবী দুর্গা। মন্দিরে মন্দিরে মাটির গড়নে ফুটে উঠতে শুরু করেছে দেবীর রূপ।

সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস ও পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা গড়ার কাজও এরই মধ্যে শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা রং-তুলির ছোঁয়া আর সাজ। তাহলে পূর্ণতা পাবে ঢাকার ধামরাইয়ের ১৯২টি মণ্ডপের প্রতিমাগুলো।

আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হবে এ উৎসবের।

ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ধামরাই পৌরসভায় ৩৭টি ও পুরো উপজেলায় ১৯২টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা।

স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিল্পীরা প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন। মণ্ডপগুলোতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, পূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধু রং আর সাজসজ্জায় প্রতিমাকে পূর্ণতা দেয়ার অপেক্ষায় কারিগররা। দুই-এক দিনের মধ্যেই মণ্ডপগুলোতে পূর্ণ রূপে দেখা মিলবে দেবী দুর্গার।

বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে মণ্ডপগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রিপলের ছাউনির। জোরেশোরে চলছে আলোক ও সাজসজ্জার কাজ।

বারবাড়িয়া গ্রামের প্রতিমাশিল্পী সম্পদ পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে কাদামাটি ও রং-তুলির সঙ্গে বেড়ে ওঠা। প্রতিবছর ৫-৭ সেট প্রতিমা তৈরি করি। পূজার তিন মাস আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা বাড়ে।

‘এ সময় দিন-রাত কাজ করতে হয়। এবার ৭ সেট প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ করছি। একেক সেট প্রতিমা তৈরিতে ৫০-৭০ হাজার টাকা মজুরি নিই। প্রতিমা গড়ার কাজ মোটামুটি শেষ। এখন শুধু রং আর সাজ দিলেই প্রতিমা প্রস্তুত।’

ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মণ্ডপের সংখ্যা কমে গেছে। গতবারের থেকে এবার প্রতিমা তৈরির মজুরি বেড়েছে। ‘আমরা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু রং-তুলি আর সজ্জার কাজ বাকি।

তিনি আরও বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে প্রত্যেক মন্দিরকে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর মন্দিরগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মোট ১৯২টি মণ্ডপে পূজা হবে। এর মধ্যে রিমোট এরিয়ায় ২-৩টি মণ্ডপ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এ ছাড়া জমিজমা ও কমিটি নিয়ে বিরোধ আছে ৫-৭টা মন্দিরে। এ কয়েকটি মণ্ডপে বিশেষ নজরদারিতে রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।’

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, ‘দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। আমাদের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মণ্ডপে পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত টহল দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘পাশাপাশি সব কয়টি পূজামণ্ডপ গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে। এ ছাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব পালনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর