বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আনক্লিনড ব্যাম্বু’ নিয়ে রাস্তায় নামতে চান গয়েশ্বর

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:২৬

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‌‘‘আমাদের একটা ‘আনক্লিনড ব্যাম্বু’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। আনক্লিনড বাঁশ। কারণ ক্লিনড বাঁশ বোধহয় যথেষ্ট নয়। এখন আমাদের সেই বাঁশের লাঠি নিয়া আন্দোলন করতে হবে।"

সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, “আমাদের একটা ‘আনক্লিনড ব্যাম্বু’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। আনক্লিনড বাঁশ। কারণ ক্লিনড বাঁশ বোধহয় যথেষ্ট নয়। এখন আমাদের সেই বাঁশের লাঠি নিয়া আন্দোলন করতে হবে।

‘‘আমি আশা করি, শেখ হাসিনা মাইন্ড করবেন না। কারণ ৭ মার্চ তো শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, যার যা আছে লাঠি-বাটি নিয়ে নামতে হবে। যদি তাই না হয় ঝাড়ু নিয়ে নামতে হবে। আমাদের এখানে নারী নেত্রী বিলকিস যদি ঝাড়ু নিয়া নামেন-এটাই এনাফ। এর বেশি কিছু লাগবে না আমার মনে হয়।"

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারকে যেন শক্তিশালী মনে না করি। আমাদের শুধু একসঙ্গে বলতে হবে- এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে সবার ঐক্য দরকার, সবার একমত হওয়া দরকার যে, এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করা। গণতন্ত্র উদ্ধার না হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা সব স্বাধীনতাই হরণ হয়। আর যখন বলার পথ রুদ্ধ হয় তখনই কিন্তু অন্য কিছু আসে যা মানুষ পছন্দ করে না।’

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে একটি ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন নেই, আছে শেখ হাসিনার শাসন। তাদের দলের মধ্যে টুকিটাকি কানাঘুষা চলছে শোনা যায়। শুনতে পাচ্ছি গত পরশু তাদের ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়েও চড়থাপ্পড় বিনিময় হয়েছে। গণমাধ্যমে আসেনি। দলের মধ্যেই যখন এই অবস্থা, সেখানে আমার আপনার দরকার নেই। তারা তারাই যথেষ্ট।’

দেশের সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকার এবং রাষ্ট্র দুই শব্দ যে আলাদা, এই সরকার সেটি বুঝতে চায় না। আজকে প্রশাসনিক রোলারদের মতো তারা বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন, পরিচালিত করছেন। বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার ন্যূনতম সুযোগটা কিন্তু দণ্ডনীয় অপরাধ। নৈতিকভাবে কোনো আইনে তারা এটা পারে না।

‘মন্ত্রীরা যখন বক্তৃতা দেয়, পরের দিন যদি কোনো বিচারের জাজমেন্ট হয়- দেখা যায় মন্ত্রীদের কথা হুবহু সেটাতে আছে। তার মানে অমুক অ্যারেস্ট হবে, অমুকের ফাঁসি হবে, অমুকের জেল হবে, দেখবেন জাজমেন্টটা তেমন হয়।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘এর মানে কী? কোনো সাবজুডিস বিষয়ে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যদি কথা বলে, সেখানে আদালত প্রভাবিত হতে পারে। সাবজুডিস বিষয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ। কিন্তু তারা এটা অনবরত করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রমাণ নেই, আমরা শুনতে পাই সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এই যদি হয় একজন বিচারপতির অবস্থা। ক্ষমতাসীন সরকার-পুলিশ আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, এক হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন করছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া মঞ্চের প্রধান আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলামসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর