বগুড়া শহরের কানছগাড়িতে খায়রুল ইসলাম সুমন হত্যা মামলায় বাবু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছুরিকাঘাতে এ হত্যার কারণ উদঘাটন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
এসপি জানান, গ্যারেজের খোলা জায়গায় প্রস্রাব করতে বাধা দেয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে সুমন খুন হয়েছেন। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কানছগাড়িতে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
পুলিশ তদন্তে নেমে বাবুকে গ্রেপ্তার করে। বাবু বগুড়া শহরের কানছগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি শহরে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবু জানায়, ঘটনার দিন সুমন আরেক যুবকের সঙ্গে তার প্রাইভেট কার নিয়ে ওই এলাকায় যায়। তারা দুজন কথা বলার এক ফাঁকে পাশের গ্যারেজের ভেতরের খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে সুমন প্রস্রাব করলে সেখানে থাকা বাবুর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়।
একপর্যায়ে বাবু তার এক সহযোগীকে নিয়ে সুমনের ওপর হামলা করেন। সেখান থেকে বাঁচতে সুমন একটি ওষুধের দোকানে ঢোকেন। তার ভেতরে গিয়ে বাবু ও তার সহযোগী ছুরিকাঘাত করলে সুমন মারা যান।
এসপি আরও জানান, সুমনের বাবা রংপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হেডক্লার্ক আব্দুল খালেক বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
রোববার রাতে কাহালু উপজেলার মুরইল এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার সুদীপ।