দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধান থেকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, দুই কমিশনার, শিবলী সাদিকসহ ৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এটি নিয়ে ২০১৭ সালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অনুসন্ধান শেষে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শিবলী সাদিকের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ায় তার নাম বাদ দেয় দুদক।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণ না হওয়ায় তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম।
তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুদকের মামলায় পাঁচ বছর সাজা হয়। এরপর হাইকোর্টে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
‘অথচ আওয়ামী লীগের এ নেতার নাম দুদকের অনুসন্ধান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যেখানে পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে কাবিখার ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি এই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিয়েছেন।’
রিটকারী আইনজীবী এম আশরাফুল বলেন, ‘সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বরাদ্দকৃত টেস্ট রিলিফের ২৭ লাখ টাকা দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
‘দুস্থ, অসহায় পরিবার ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টিআর বরাদ্দ দেয়ার বিধান থাকলেও দেলদুয়ারে চলছে হরিলুট। বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান করে দুদক তার নামসহ অভিযোগটিও বাতিল করে দেয়। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত আমার আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’