রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এবারও জালিয়াতি চক্র সক্রিয় আছে জানিয়ে উপাচার্য গোলাম সাব্বির বলেছেন, প্রশাসনের তৎপরতায় তারা সফল হবে না।
পরীক্ষা চলা সময়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে। তাদের তৎপরতার কারণে এবার জালিয়াতি চক্র সফল হবে না। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা নেয়ার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
কোটা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ১৯১ আসন রয়েছে। এ, বি ও সি ইউনিটের অধীনে এই সিটের বিপরীতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৭ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সে হিসাবে প্রতি সিটের জন্য লড়বে ৩১ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।
উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আইনি তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের আশে-পাশে মেস ও বারিগুলোও প্রশাসনের নজরে রয়েছে।’বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ভর্তি পরীক্ষার আগে এক ছাত্রলীগ নেতার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে ভর্তিচ্ছুকে ওই ছাত্রলীগ নেতা টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার নিশ্চয়তা দেন। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ টাকার চুক্তিও হয়।এর আগে ২০১৪ সালে ভর্তি পরীক্ষার সময় একটি গ্রুপ জালিয়াতি করতে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে তাদের ওই গাড়িতেই রাজশাহী থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।