বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কম খরচে বেশি ফলনের ধান বিনা-২১

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১০:০২

বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ) ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষ শৌখিন। তারা চিকন চাল খেতে পছন্দ করেন। বিনা ধান-২১-এর চাল চিকন। কৃষক ভালো লাভ পাবেন।’

আউশ মৌসুমে ফলন কম হওয়ায় অনেক কৃষক ধান চাষ করতে চান না। তবে ধানের প্রধান মৌসুম বোরোর মতোই ফলন পাওয়া গেছে নতুন উদ্ভাবিত ধান বিনা-২১-এ।

রুক্ষ পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম ধানটিতে উৎপাদন খরচও কম। চিকন চালের ধানটি চাষে সময়ও লাগে কম।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানটি এবার চাষ করেছেন কুমিল্লার কৃষকরা। কম খরচ ও সময়ে বেশি ধান পাওয়ায় খুশি তারা।

বিনার গবেষকদের মাঠপর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, বিনা-২১ চাষ করে প্রতি হেক্টরে সাড়ে পাঁচ টন ধান পেয়েছেন কৃষক। আগে আউশ মৌসুমে অন্য ধান চাষ করে হেক্টরে পেতেন পৌনে তিন টন। বিনা-২১ চাষে প্রধান মৌসুম বোরোর মতোই ফলন হচ্ছে।

বুড়িচং উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের কৃষক শামছুল হক ও নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এবারই প্রথম তারা এ জাতের ধান চাষ করেছেন। কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সহযোগিতা করেছেন। ধান ভালো হয়েছে। খরচও কম হয়েছে।

জেলার সদর উপজেলার রামপুর গ্রামের রিপন মিয়াও প্রথম বিনা ধান-২১ চাষ করেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টেনশনে আছিলাম। যদি ভালো ফলন না অয়। আর ফলন ভালা না অইলে পুঁজি মাইর।

‘আল্লায় মুখ তুইল্লা চাইছে। অনেক বালা ধান অইছে। সামনেবার আরও বেশি কইরা লাগায়াম বিনা ধান। খরচ নাই। আমার ধান দেহনের লাইগ্গা ডেলি ক্ষেতের কাছে মানুষ আইয়ে।’

বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ) ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষ শৌখিন। তারা চিকন চাল খেতে পছন্দ করেন। বিনা ধান-২১-এর চাল চিকন। কৃষক ভালো লাভ পাবেন।

‘এ ছাড়া এই ধান পানি ছাড়া ২০ দিন টিকে থাকতে পারে। পর্যাপ্ত পানি না পেলে স্থির থাকে, পানি পেলে আবার বেড়ে ওঠে।’

উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ‘আউশ মৌসুমে অনেক জমি খালি পড়ে থাকে। ফলন কম পাওয়ায় অনেকে এই মৌসুমে ধান চাষ করতে চান না।

‘অন্য ধান চাষে হেক্টরে আগে পেতেন পৌনে তিন টন ধান। বিনা ধান-২১ চাষে প্রতি হেক্টরে কৃষক সাড়ে পাঁচ টন ধান পাচ্ছেন। এ ছাড়া ধানের জীবনকাল কম হওয়ায় এক জমিতে চার ফসলও করা সম্ভব হচ্ছে। আবার এই ধান চাষে সেচসহ অন্যান্য খরচ নেই বললেই চলে।’

বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘আফ্রিকার নেরিকা-১০ ধানের জাত থেকে এই বিনা ধান-২১ উদ্ভাবন করা হয়। নেরিকার ফলন কম হতো। তাই কৃষকের আগ্রহ কম ছিল। গামা রশ্মি প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো হয়েছে।

‘গাছের কম-বেশি উচ্চতা সমান করা হয়। মোটা ধানের সাইজ চিকন করা হয়। তাই এই ধান চাষ নিয়ে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।

‘আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে আউশ মৌসুমে উঁচু সব জমি বিনা ধান-২১-এ হেসে উঠবে। এতে দেশের খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর