ছেলের নামে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে যখন হুলুস্থুল ঠিক সে সময় মিল্ক ভিটাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রোববার বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্কভিটা) ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘মিল্ক ভিটার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় সব সময় তৎপর রয়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে জাতির পিতার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণে মিল্ক ইউনিয়নের সকলকে কাজ করতে হবে।
‘কোথায় সংকট আছে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। শক্ত হাতে প্রতিহত করে গুজব ও যড়যন্ত্র থেকে মুক্ত থেকে মিল্কভিটাকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, তারাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মিল্কভিটার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে।’
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, যশোরের মনিরামপুরে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার জন্য কেনা একটি জমি জালিয়াতি করে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়।
এমন অভিযোগ ওঠার পর নিজের ছেলের নামে জমি রেজিস্ট্রির বিষয়টি স্বীকারও করেছেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন।
অবশ্য তার যুক্তি জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ এড়াতে ছেলের নামে জমি রেজিস্ট্রি করেছেন।
স্বপন ভট্টাচার্য্য স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মিল্ক ভিটার নামে কেনার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, তা ছাড়া বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তাই জমিটা আটকাতে এ পথ বেছে নেয়া হয়।’
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার মণিরামপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার কারখানা করার জন্য আমি গত সপ্তাহে আমার ছেলের নামে একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্নীতির রেট অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় সেই জমি রেজিস্ট্রি হয়নি।’
তার এ বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
রোববারের অনুষ্ঠানে সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুপুষ্টির চাহিদা ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশে দুগ্ধজাতপণ্য উৎপাদন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এ দেশের বাঙালিরা যাতে মেধাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে জন্যই সমবায়ভিত্তিক মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’