বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূজায় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ২১:১০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশের মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। বড় মণ্ডপগুলোতে র‍্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সিসিটিভির বিশেষ নজরদারি থাকবে। সীমান্ত এলাকার মণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের মণ্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সচিবালয়ে রোববার বিকেলে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরে গত বছর ১৩২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ২৩৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর কয়েক শ পূজামণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা বসতে দেয়া হবে না। হাউজি বা জুয়া খেলা ও পটকাবাজি ফোটানোর ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাশাপাশি পূজামণ্ডপের সুরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশের মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। বড় মণ্ডপগুলোতে র‍্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সিসিটিভির বিশেষ নজরদারি থাকবে। সীমান্ত এলাকার মণ্ডপে বিজিবি ও উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থায় থাকবে।

‘কেউ পূজামণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মণ্ডপে অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও নৌটিমও প্রস্তুত থাকবে।’

এ ছাড়া মসজিদসংলগ্ন মণ্ডপে নামাজের সময় বাদ্য না বাজানোর অনুরোধ জানানোর কথাও বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজানের সময় কিংবা নামাজের সময় মসজিদের ঠিক কাছে থাকা মণ্ডপগুলো যেন সংযতভাবে পূজা-অর্চনা করে থাকে। বাদ্যযন্ত্র সে সময়ের জন্য মানে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখে এবং সে জন্য যেন তারা সচেষ্ট থাকেন, সেটাও আমরা পূজা উদযাপনকারীদের বলেছি।

‘অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির একদম পাশাপাশি। এসব জায়গায় তাদের একটু কেয়ারফুল থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। এবার সারা দেশে ৩১ হাজার ১৩৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে।

মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবে শরিক হতে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

‘এ ছাড়া প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, যাতে করে পূজামণ্ডপে প্রবেশের সময় তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়। মোদ্দাকথা হলো, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে।’

এ ছাড়া মণ্ডপ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো সচেষ্ট থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মণ্ডপ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আলোকসজ্জাসহ যেকোনো আর্থিক অনুদান ও সহযোগিতা করবে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানরাও সহযোগিতা করবেন।

‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। নারী ও শিশুদের ইভ টিজিং রোধে থাকবে কঠোর ব্যবস্থা।’

অস্থায়ী মণ্ডপগুলোর প্রতিমা নির্দিষ্ট দিনেই বিসর্জনের কথা বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর