জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার জামিন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
কারাগারে পাঠানো দুই কর্মকর্তা হলেন এবি ব্যাংকের এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহিম ও ভিপি শহিদুল ইসলাম।
আদালতের দুদক শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলফিকার এ তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, তাদেরকে জামিন দিলে তারা পালিয়ে যেতে পারেন। কারণ ১৭৬ কোটি টাকা তারা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এই টাকা কোথায় কীভাবে আছে তার অনুসন্ধান চলছে।
‘এমন বিশাল অংকের টাকা তারা জালিয়াতি করেছেন। কাজেই পলাতক হওয়া তাদের জন্য স্বাভাবিক, একারণে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে আটক রেখে এই মামলার তদন্ত হওয়া দরকার। তাই তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে নিবেদন করছি।’
জানা যায়, এ দুই আসামি গত ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না দিয়ে তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্য বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে এদিন তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
গত ৮ জুন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মসিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ৬টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া মামলায় উল্লেখিত এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে, তা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।