বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনামুক্ত হয়েও জটিলতায় ৪০ শতাংশ রোগী

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:১৬

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পরেও তাদের কারও কারও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা যাচ্ছে। মানসিক অবসাদ, ভুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, নাকে কম গন্ধ পাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছে। এসব থেকে উত্তরণ ও মুক্তির উপায় খুঁজে পেতে চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেও পরের তিন মাস ৪০ শতাংশ রোগী নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বক্ষব্যাধি বিভাগের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

এই ৪০ শতাংশ মানুষ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, নাকে গন্ধ কম পাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়াসহ নানা জটিলতায় ভোগেন বলে দাবি গবেষকদের।

বয়স্কদের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সে কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নিয়মিত ফলোআপে থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বিএসএমএমইউ জানিয়েছে, এই গবেষণা করা হয়েছে ৫০০ রোগীর ওপর। যাদের ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি বিভাগে ‘পোস্ট কোভিড-১৯ পালমোনারি ফাইব্রোসিস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষণার এ ফল জানানো হয়।

সেমিনারে আরও জানানো হয়, করোনার পরের অনেক রোগীর ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ায় রোগীর শরীরের রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। রোগী এ সময় অক্সিজেনস্বল্পতায় ভোগেন, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা যায়। একে পালমোনারি ফাইব্রোসিস বলে।

এ রোগের কারণে ফুসফুসের নরম অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে। এতে ফুসফুসের টিস্যু মোটা ও শক্ত হয়ে যায়, ফলে ফুসফুসে বাতাসের থলিগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

এ জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেগেটিভ হওয়ার পরেও নিয়মিত ফলোআপে থাকা প্রয়োজন। যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসা না হলেও রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে সেমিনারে জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পরেও তাদের কারও কারও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা যাচ্ছে। মানসিক অবসাদ, ভুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, নাকে কম গন্ধ পাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছে।

‘এসব থেকে উত্তরণ ও মুক্তির উপায় খুঁজে পেতে চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করতে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জিনোম সিকোয়েন্সিং, টিকার কার্যকারিতা জানতে টিকাগ্রহীতাদের শরীরে অ্যান্টিবডির অবস্থা নির্ণয়সহ নানাবিধ গবেষণার কাজ চালু রয়েছে।’

দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো যাতে রোগীদের উপকারে আসে, এমন গবেষণায় অবদান রাখতে পারে, সে জন্য ওষুধের ট্রায়ালের সুযোগ দেয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর