বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মা ইলিশ রক্ষায় মধ্যরাত থেকে অভিযান

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:১৪

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ সমন্বিত অভিযান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই অভিযান ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩৮টি জেলায় পরিচালিত হবে।

রোববার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য দপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

অভিযান পরিচালনার সময় ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বাগেরহাট- মোট ২০টি জেলার নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জামালপুর, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুষ্টিয়া ও নড়াইল জেলার নদ-নদীতেও ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইলিশ মাছকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। মৎস্যবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন সময় বিবেচনা করে এ বছর ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকাকালীন এ বছর ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইলিশ ধরা বন্ধকালে যাতে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করতে না পারে, সে জন্য কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, নৌপুলিশ এ বছর নদীতে ভাসমান ফাঁড়ি পরিচালনা করবে এবং সার্বক্ষণিক একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখবে। বিমানবাহিনী আকাশপথে নজরদারি গত বছরের চেয়ে বাড়াবে এবং রাতে টহল জোরদার করবে।

নৌবাহিনী ৯টি জাহাজের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে বলেও জানানো হয় সভায়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভারতীয় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করবে, যাতে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে না পারে।

স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বরফকল বন্ধ রাখা, বাজার মনিটরিং এবং স্থানীয় মৎস্যজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতা ও প্রচারণামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মা ইলিশ সংরক্ষণে বাধা সৃষ্টি করলে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না বলেও সভায় জানানো হয়।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।

এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, যুগ্ম সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ও নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম সভায় অংশ নেন।

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানসংশ্লিষ্ট ৩৮ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, মৎস্য অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তা, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, র‌্যাব এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর