ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে ও মা ইলিশ সংরক্ষণে সাগরে নিষেধাজ্ঞা ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন পিরোজপুরের জেলেরা।
গত বছরের চেয়ে ১০ দিন এগিয়ে রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হবে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ আহরণ, কেনাবেচা, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাড়েরহাট বন্দরের জেলে মো. মোস্তফা রোববার সকালে সাগর থেকে ফিরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জলসীমায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ সময় ভারতের জলসীমায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমাদের আশঙ্কা, এ সময় বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাই আমাদের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, ৬ অক্টোবর থেকে অমাবস্যা শুরু। অমাবস্যায় প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশ সাগর থেকে নদ-নদীতে ছুটে আসবে। এ সময় নিষেধাজ্ঞা না দিলে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ ধরা পড়ত।
তিনি বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই গত বছরের চেয়ে এবার নিষেধাজ্ঞা ১০ দিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ৬ থেকে ২০ অক্টোবর পূর্ণিমা ধরে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য কার্যালয়।
এ বছর ইলিশের মৌসুমের শুরুতে পিরোজপুরে তেমন দেখা মিলছিল না রুপালি এই মাছের। তবে শেষ দিকে জমে ওঠে বাজার। যদিও এ বছর ইলিশের আকার অনেক ছোট।
একে এ বছর ইলিশের মৌসুমে ভালো ব্যবসা হয়নি, তার ওপর এখন আবার নিষেধাজ্ঞা। অনেক জেলেই পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তবু তারা ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন।