দেশে ই-কমার্স খাত বা অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের পণ্য কেনাকাটায় ক্রেতা ও ভোক্তাদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকশি স্বাক্ষরিত রোববারের তথ্যবিবরণীতে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
‘অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা হতে সাবধান থাকুন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’ শীর্ষক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিটি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনলাইন কেনাকাটার বিজ্ঞাপনের শেষে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি একাধিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য কেনাকাটা করে ক্রেতাদের প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, বুমবুম, সিরাজগঞ্জ শপসহ ২০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ছয় লাখের বেশি গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য পাঠায়নি।
প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল এখন কারাগারে। ই-অরেঞ্জের দুই মালিকও কারাগারে।
এ ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসাসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আরও অনেককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ই-কমার্স খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একই সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা হবে ই-কমার্স পরিচালন আইনও। তবে আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার আগে ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটায় সাবধান হতে হবে।