বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে, তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগা নয়’

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:১৮

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা মনে করি, এই স্বস্তিকর পরিস্থিতি ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তবে এ কারণে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি।

করোনাভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই করোনার বিরুদ্ধে শেষ হাসি হাসা যাবে।’

রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রোববার স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা মনে করি, এই স্বস্তিকর পরিস্থিতি ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

সবাইকে সতর্ক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগী। আমরা যেন মনে করি, করোনা আছে। এটি একেবারে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব। তাহলে করোনার বিরুদ্ধে শেষ হাসিটি আমরা হাসতে পারব।’

গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গত এক সপ্তাহে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৭১ জন। গত ৭ দিনে বাংলাদেশে মারা গেছেন ১৬৩ জন।

গত ৭ দিনে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২১৫টি। আর শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৬, যা আগের ৭ দিনের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম বলেও উঠে এসেছে স্বাস্থ্য বুলেটিনে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা যদি গত ৭ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখি, সেটা ৪ শতাংশের নিচে ছিল। গতকাল সেটি ৩ দশমিক ৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতিটি আছে, সেটি অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি।’

তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে যদি একসঙ্গে কাজ করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এ পরিস্থিতি অব্যাহত রাখা সম্ভব। সংক্রমণের হার আগের চেয়ে কম হওয়া সম্ভব।’

তবে জেলার হিসাবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংখ্যাটি ৫ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি। তারপর আছে চট্টগ্রাম। সেখানে ৯৯ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। পাসপোর্টের মাধ্যমে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য বুলেটিনে।

এ বিভাগের আরো খবর