কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে নৈশপ্রহরীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার দিগদাইড়ের সাজিয়া কাহনীয়া বিলে রোববার ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নৈশপ্রহরী জুনায়েদ হোসেনের বাড়ি দিগদাইড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া গ্রামে। তিনি বাকশক্তিহীন ছিলেন।
নিহতের চাচা ফশর আলী জানান, রোববার সকালে খোকন, জহিরুলসহ ৪০ থেকে ৫০ জনকে বিলের পাড় থেকে দৌড়ে যেতে দেখেন। আরেকটু কাছে যেতেই জুনায়েদকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিলে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে জানান, এক মাস আগে তিনি ও জুনায়েদসহ কয়েকজন মিলে তিন বছরের জন্য সাজিয়া কাহনীয়া বিলের ইজারা নেন। জুনায়েদ বিলে পাহারাও দিতেন। বিলের টেন্ডার নিয়ে আগে থেকেই একই এলাকার খোকন, জহিরুল, আওয়াল, বাদল, অলি, রতন, সাইকুলসহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল।
অভিযুক্ত খোকন মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, গত ৭ মে ফশরদের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়েছিল। সে ঘটনায় ফশরের লোকজন তাদের দুজনকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় মামলা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে ফশরের পক্ষের লোকেরা সাত বছরের এক শিশুকে হত্যা করে আমাদের ওপর চাপাতে চেয়েছিল। পরে পুলিশের তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এবারও তারা নিজেরাই জুনায়েদকে হত্যা করে আমাদের ওপর দায় চাপানের চেষ্টা করছে।’
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিলের টেন্ডার নিয়ে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাত থেকে ভোরের কোনো এক সময় জুনায়েদকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বুকে পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।