বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলায় বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১১:২৯

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আদালতের সামনের চেকপোস্টে আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ২০০৫ সালে বোমা হামলার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আরেক আসামি জাবেদ ইকবালকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে বোমা মিজান এখনও পলাতক।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম রোববার সকালে এই রায় ঘোষণা করেন।

জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আদালতের সামনের চেকপোস্টে আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।

মনোরঞ্জন দাশ বলেন, আমরা দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে আদালত একজনকে মৃত্যুদণ্ড আরেকজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।

বোমা হামলার ঘটনার পরপরই মামলা হয় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১৮ মে জেএমবির সাবেক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, জেএমবির সাবেক সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ও বোমা তৈরির কারিগর বোমা মিজান নামে পরিচিত জাহিদুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

এর মধ্যে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাদের একজন ছিলেন বোমা মিজান।

এর পর অন্য একটি মামলায় আসামি শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে এই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই মামলার বিচার। ৭৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত ৯ মার্চ শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যুক্তিতর্ক শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর