আর্থিক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের অন্যতম করপোরেট উদ্যোক্তা ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স তাদের বিনিয়োগ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের হাতে থাকা ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৪টি শেয়ারের মধ্যে ৩০ লাখ শেয়ারই বিক্রি করে দেয়া হবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই শেয়ার বিক্রি করা হবে।
রোববার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
উদ্যোক্তা পরিচালকরা কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের বিধান আছে।
বড় সংখ্যক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা আসার পর ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। আর্থিক খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির মধ্যেও এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে।
আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের একেকটি শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৮১ টাকা ৫০ পয়সায়। ইস্টল্যান্ড তার সিদ্ধান্ত জানানোর পর তা একপর্যায়ে ৭৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে। পরে অবশ্য বাড়ে।
দুটো কোম্পানিই পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিক ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাদৃত। গত এক বছরে দুটি কোম্পানির শেয়ারের দরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
তবে গত তিন মাসে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর। এই সময়ে কোম্পানিটির দর সর্বনিম্ন ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
ইস্টল্যান্ড শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর দরপতন হলেও তাদের বিপুল পরিমাণ মুনাফার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই মুহূর্তে যে দাম আছে, সেই দামে বিক্রি হলেও ইস্টল্যান্ড শেয়ার বিক্রি থেকে ২২ কোটি টাকার বেশি আয় করবে। তবে এর মধ্যে মুনাফা কত, সেটি অবশ্য জানা সম্ভব নয়।
কারণ, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের সঙ্গে বছর বছর বোনাস শেয়ার যুক্ত হয়ে ইস্টল্যান্ডের প্রতিটি শেয়ারের দাম এখন কত পড়েছে, সেটি জানানো হয়নি। আবার যে মুনাফা হবে, তার ওপর কর দিতে হবে কোম্পানিটিকে।
তার পরেও এই শেয়ার বিক্রি ইস্টল্যান্ডের আয় বাড়াবে, এটা নিশ্চিত। মোট ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৮২টি শেয়ারে বিভক্ত ইস্টল্যান্ড গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা হিসেবে মোট আয় করেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ টাকা।
চলতি অর্থবছরে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা হিসেবে মোট ৬ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬ টাকা আয় করেছে।