বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে কেপিসিএলের আয় ১৫ কোটি টাকা

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৫৩

১৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পায়রায় কেপিসিএলের মালিকানা আছে ৩৫ শতাংশ। এই কোম্পানি গত ১৮ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে। ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব পর্যালোচনা করে তারা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের খুলনা পাওয়ার কোম্পানি বা কেপিসিএল তার একটি বিনিয়োগ থেকে ১৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে।

সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রার লভ্যাংশ থেকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।

রোববার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, ইউনাইটেড পায়রা গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

১৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পায়রায় কেপিসিএলের মালিকানা আছে ৩৫ শতাংশ। এই হিসেবে তারা ১৫ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে।

পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালী এলাকায় এই কেন্দ্রটি গত ১৮ জানুয়ারি বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে। এখান থেকে সরকার আগামী ১৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কেপিসিএলের মোট তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। তিনটি কেন্দ্রেরই মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড পায়রাই এখন কেপিসিএলের একমাত্র ভরসা।

আগের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে খুলনার খালিশপুরে ১১০ মেগাওয়াটের কেপিসিএল-১ বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর।

খুলনার খালিশপুরে ১১৫ মেগাওয়াটের কেপিসিএল-২ ও যশোরের নোয়াপাড়ায় ৪০ মেগাওয়াটের কেপিসিএল-৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হয় গত মে মাসে।

এই দুটি কেন্দ্রসহ মোট পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর ফাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সই করেছেন। এখন চুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। সরকার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে পিছিয়ে এসেছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে।

তবে এই চুক্তি নিয়ে সরকার ও কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলোচনা এখনও চূড়ান্ত রূপ পায়নি। সরকার চাইছে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে। অর্থাৎ যতটুকু বিদ্যুৎ কেনা হবে, ততটুকুর জন্য বিল পাবে তারা। কিন্তু কোম্পানি বলছে, কেন্দ্রের ভাড়া বা ন্যূনতম বিদ্যুৎ কেনার নিশ্চয়তা না পেলে কেন্দ্র চালানো কঠিন হবে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কেপিসিএলসহ চার কোম্পানির মধ্যে বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর চার কোম্পানি দেখা করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে। তিনি কোম্পানিগুলোর বক্তব্য শুনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

এই অবস্থায় কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যে কেপিসিএল তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মুনাফার এই তথ্য জানাল। এই মুনাফার কারণে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন। কারণ, এতে মূল কোম্পানির আয় বাড়বে।

২০২০ সালে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয় ছাড়া কেপিসিএল শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৪০ পয়সা আয় করে বিনিয়োগকারীদেরকে সম পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। এর সঙ্গে ইউনাইটেড পায়রার লভ্যাংশ যোগ হলে চূড়ান্ত আয় গত বছরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কারণ, অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে এপ্রিল ও মে মাসে কেপিসিএল সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করেছে। পাশাপাশি তারা কেন্দ্রের ভাড়াও পেয়েছে।

ইউনাইটের পায়রার এই আয় কেপিসিএলের আয়ে কত টাকা যোগ করবে, তার একটি ধারণাও পাওয়া গেল।

চলতি বছর সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি সাড়ে পাঁচ মাসের কিছুটা কম সময় চলেছে। এতে বিনিয়োগ করে কেপিসিএল তার প্রতিটি শেয়ারে আয় করেছে ৩৮ পয়সার মতো। এক বছর পরিচালনা করলে তা ৯০ পয়সার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তবে সাধারণত বড় বিনিয়োগের পর প্রথম বছর আয় তুলনামূলক কম হয়। বিনিয়োগ ধীরে ধীরে উঠে এলে পরে আয় বাড়তেও পারে।

কেপিসিএল তার বিনিয়োগকারীদের জন্য কবে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, সেটি অবশ্য জানানো হয়নি। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর এবং তার আগের বছর ২৪ অক্টোবর তারা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর