বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিংয়ের ১৬ আইডি কিনে টাকা খোয়ালেন শিমুল

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:০৮

শিমুল বিশ্বাস জানান, বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে তিনি ১৬টি আইডি কিনেছেন। বিজ্ঞাপন দেখে ওয়ালেটে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এক বার ওয়ালেট থেকে টাকা তোলা যাবে বলা হয়েছিল, কিন্তু তা হচ্ছে না।

অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রিং আইডির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে যশোরে।

শিমুল কুমার বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার বিকেলে মামলাটি করেন। তিনি রিং আইডির ৭ কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন।

১৬টি আইডি কেনার পর এখন তিনি পাওনা সাড়ে তিন লাখ টাকা তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম বলেন, ‘রিং আইডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৭ কর্মকর্তার নামে টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে। আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

পুলিশ জানায়, মামলার বাদী শিমুল ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে।

তিনি এজাহারে জানান, গত ৫ মার্চ বেলা ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে তোফাজ্জেলের চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে রিং আইডি থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। রফিকুল ইসলাম (আইডি নম্বর-১১৭৭৯০৪৪) পরিচয়ে বলা হয়, প্রতিদিন এক শ বিজ্ঞাপন দেখলে ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। আর একটা আইডি কিনতে হলে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হবে। ওই টাকা জমা দিলে ভার্চুয়াল সদস্য পদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট পাওয়া যাবে।

শিমুল বিশ্বাস জানান, বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে তিনি ১৬টি আইডি কিনেছেন। বিজ্ঞাপন দেখে ওয়ালেটে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এক বার ওয়ালেট থেকে টাকা তোলা যাবে বলা হয়েছিল, কিন্তু তা হচ্ছে না। রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে, এখন সমস্যা আছে, পরে টাকা তোলা যাবে। টাকা তুলতে না পেরেই তিনি এ মামলা করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে রিং আইডির ৭ কর্মকর্তাকে। তারা হলেন- শরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আইরিন ইসলাম, সালাহ উদ্দিন, আহসান হাবিব, রফিকুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন।

এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই রাজধানীর ধানমন্ডির রিং আইডি অফিসে কর্মরত বলে বাদী জানান।

অভিযোগ রয়েছে, ধারাবাহিক আয়ের লোভনীয় অফারে শিমুলের মতো অসংখ্য গ্রাহক রিং আইডিতে বিনিয়োগ করেছেন। এমনকি নিজেরা বিনিয়োগ করার পর অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি এসব অভিযোগ যাচাই করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাতে গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

আলোচিত প্রতিষ্ঠান ‘রিং আইডি’ যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৫ সালে। শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম নামে দুই প্রকৌশলী ভাই মিলে এই অ্যাপ তৈরি করেন।

রিং আইডি অ্যাপটি লঞ্চ করার পর বড় ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন ইসলামকে চেয়ারম্যান করা হয়। বড় ভাই শরিফুল এমডি এবং ছোট ভাই সাইফুল পরিচালক হিসেবে রিং আইডি পরিচালনা শুরু করেন। অ্যাপের পর তারা রিং আইডি ই-কমার্স সাইটও পরিচালনা শুরু করেন।

সিআইডি বলছে, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ই-কমার্স সাইটগুলোর মতো গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের জন্য পরিকল্পনা সাজিয়েছিল রিং আইডি।

অভিযুক্ত শরিফুল ও সাইফুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামে। তাদের পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম। শরিফুলের স্ত্রী আইরিনের বাড়ি একই এলাকায়।

এ ছাড়া আসামি সালাহ উদ্দিনের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামে। আহসান হাবিবের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে, রফিকুলের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে। আর নাজমুলের বাড়ি হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডে।

এ বিভাগের আরো খবর