বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোয়াবের আন্দোলনের হুমকি অনভিপ্রেত: অ্যাটকো

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩০

মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে আইন ও যুক্তির ওপরে তো জোর চলে না। কোয়াবের একটা অংশ বলছে কিন্তু আরেকটি অংশ প্রস্তাব নিয়ে এসেছে সময়ের। আলোচনায় কিন্তু পথ বেরুবে। যখন তথ্য মন্ত্রণালয় সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে তখন ডিস্ট্রিবিউটররাও এটা মেনে নিয়েছিলেন।’

বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড প্রচার নিয়ে সরকারের কড়াকড়ির মধ্যে কোয়াবের আন্দোলনের হুমকিকে অনভিপ্রেত বলেছে দেশি টেলিভিশনগুলোর মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো।

শনিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু।

তিনি বলেন, ‘কোনো দেশপ্রেমিক সংগঠনের আইন প্রয়োগের উদ্যোগে আন্দোলনের হুমকি দেয়াটা অনভিপ্রেত। এটা আন্দোলনের কোনো বিষয় না। অন্য কোনো উপায়ে যদি উপায় বের করতে হয় সরকার নিশ্চয় বের করবে।

‘সব ক্ষেত্রে আইন ও যুক্তির ওপরে তো জোর চলে না। কোয়াবের একটা অংশ বলছে কিন্তু আরেকটি অংশ প্রস্তাব নিয়ে এসেছে সময়ের। আলোচনায় কিন্তু পথ বেরুবে। যখন তথ্য মন্ত্রণালয় সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে তখন ডিস্ট্রিবিউটররাও এটা মেনে নিয়েছিলেন।’

সরকার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে সারা দেশে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সারা দেশে চলছে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম।

এই কড়াকড়ির মধ্যে ক্লিন ফিড না থাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই দেশের বেশিরভাগ স্থানে বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি চ্যানেল।

ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার তার অবস্থান থেকে সরে না এলে ক্যাবল টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেবেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের একটি পথ বের হয়ে আসবে।

মোজাম্মেল বলেন, ‘ডিস্ট্রিবিউটরদের এটা বাধ্য করতে হবে যে তারা ক্লিন ফিড আদায় হোক। আমরা ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে একমত। তাদের ক্ষতি আমরাও চাই না; ক্যাবল অপারেটররা যেমন বঞ্চিত হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটররাও।

‘আইন প্রয়োগে সরকার কঠোর হলে আন্দোলন এটা আমরা শুনতে চাই না।’

মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে এ আইন মানা হচ্ছে। আমাদের কোনো চ্যানেল বিদেশে সম্প্রচারে গেলেও তাদের এটা মানতে হয়। ডিস্ট্রিবিউটরদের ডাউনলিংকের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এটি শর্ত হিসেবে উল্লেখ আছে।

‘আমরা চাই, বিজ্ঞাপন পাচার বা অ্যাড ওভার ফ্লোর মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা খোয়াচ্ছে যেটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সরকারও অন্তত ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এটা কিছুতেই যেন ব্ল্যাক আউটের পর্যায়ে না যায়। গ্লোবাল ভিলেজে কোনো চ্যানেলের ওপর বাধা থাকুক সেটা আমরা চাই না। অ্যাটকো সরকারের এ অবস্থানকে সমর্থন করছে।’

বিদেশি চ্যানেলগুলোর ক্লিন ফিড নিশ্চিত করতে না পারার কারণে দেশে আপাতত কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার করা যাচ্ছে না বলে শুক্রবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছিলেন ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (কোয়াব) সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দিন মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘পয়লা অক্টোবর থেকেই আমরা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কোনো চ্যানেলেরই ক্লিন ফিড পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা সম্প্রচার বন্ধ রেখেছি।’

এদিকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিন ফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এবং টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।

বিজেসি এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৬ সালের ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে ক্লিন ফিড সম্প্রচারের কথা থাকলেও এ বিধান কার্যকরে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বর্তমান তথ্যমন্ত্রীর ‘সাহসী পদক্ষেপকে’ স্বাগত জানিয়েছে বিজেসি।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এতে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর