বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কদলপুরকে সাজিয়ে রাখতেন ‘বাবলু ভাই’

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৫৩

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুর সংবাদে শনিবার চট্টগ্রামের রাউজানে শোকের ছায়া নেমে আসে। এই উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নে মরহুমের বাড়িতে ভিড় করেন শোকাহত নেতা-কর্মীরা। এ সময় প্রিয় নেতাকে হারিয়ে তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

কদলুপর আশরাফিয়া দরবার শরীফের খাদেম অলি উল্লাহ বলেন, ‘এলাকাবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করতেন বাবলু ভাই। গরীব-অসহায়কে সবসময় আর্থিক সহায়তা দিতেন। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের তার অনেক অবদান। কদলপুরকে তিনি সাজিয়ে রাখতেন।’

শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে মারা যান জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।

কদলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী লাভলু বলেন, ‘কে কোন দল করতো সেটি নিয়ে বাবলু ভাই কাউকে পার্থক্য করতেন না। তার কাছে এলাকার মানুষ হিসেবে সবার প্রাধান্য ছিল। কদলপুরের মানুষ একজন উপকারী ব্যক্তিকে হারাল।’

বাবলুর মৃত্যুর পর অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শোক জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের বাসিন্দা আলম দিদার ফেসবুকে লিখেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা এবং উদ্বোধন করেছিলেন জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু ভাই। একদিন দেখা হলে উনাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই খুব আগ্রহ নিয়ে খোঁজ খবর নিলেন স্কুলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। বরণ্য এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে পূর্ব মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এ ছাড়া ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এ জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেয়া হয়।

জাতীয় পার্টির প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতেই সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণায় গিয়ে পাঁচদিন সিলেটে অবস্থান করেন বাবলু। ঢাকায় ফিরে অসুস্থবোধ করলে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ৬ সেপ্টেম্বর করোনা শনাক্ত হলে সেদিনই রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একদিন পর নেয়া হয় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে। সেখানে শুরু থেকেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বাবলু। করোনা শনাক্তের পর ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয় তার।

জিয়াউদ্দিন বাবলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন।

১৯৮১-৮৩ মেয়াদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাবলু। ১৯৮৫-৮৬ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী, ১৯৮৬-৮৭ সালে বন্দর ও নৌপরিবহন উপমন্ত্রী, ১৯৮৭ সালে অর্থ প্রতিমন্ত্রী, ১৯৮৭-৮৮ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ও ১৯৮৮-৯০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগনি মেহেজেবুন্নেছা টুম্পাকে বিয়ে করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তার প্রথম স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। আশিক আহমেদ তাদের ছেলে। আশিক বিবাহিত এবং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

এ বিভাগের আরো খবর