বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোর করে হলে ওঠা ঢাবি ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৩৭

করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে হল খোলার সিদ্ধান্ত আছে। তবে সবার জন্য নয়, চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য হলে উঠতে দেয়া হবে প্রথমে। তবে নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন আগে শুক্রবার প্রথমে অমর একুশে হলের তালা ভেঙে উঠে যায় কিছু ছাত্র। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।

কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জোরপূর্বক অমর একুশেসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকটি হলে প্রবেশের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি সভায় শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল বাছির।

যারা বিনা অনুমতিতে হলে উঠেছে, তাদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রভোস্ট কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে।

করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে হল খোলার সিদ্ধান্ত আছে। তবে সবার জন্য নয়, চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য হলে উঠতে দেয়া হবে প্রথমে।

তবে নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন আগে শুক্রবার প্রথমে অমর একুশে হলের তালা ভেঙে উঠে যায় কিছু ছাত্র।

পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তারা শিক্ষার্থীদের আপাতত হল ত্যাগ করে ৫ অক্টোবর আসার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা এ অনুরোধে কর্ণপাত না করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হল খোলার তারিখ দিয়েছে ৫ অক্টোবর, কিন্তু আমাদের অনেকেই বিভিন্ন মেস বাসায় থাকেন। পাঁচ দিনের জন্য কি আমরা সম্পূর্ণ মাসের টাকা দেব? তাই আমরা ১ তারিখই মেস ছেড়ে দিয়ে আজকে হলে উঠেছি।’

হলে উঠে পড়া ছাত্রদের ৫ অক্টোবরে আসার অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেননি

ছাত্রদের এই আচরণে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয়।

সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয়ে এই বৈঠক শেষ হয় রাত পৌনে ৯টায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল বাছির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের সভায় তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে হলে উঠেছে এবং অন্য একটি হলে যেসব শিক্ষার্থীরা নিজেরাই হলের বৈদ্যুতিক লাইন এবং পানির লাইন চালু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হল প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ।

‘আর যেসব শিক্ষার্থী হলের সিদ্ধান্তের বাইরে অযৌক্তিকভাবে হলে অবস্থান করছে তাদের আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে আমাদের ইতোপূর্বে ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী মাস্টার্স এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। পরে একই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও হলে ওঠানোর জন্য প্রভোস্ট কমিটি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইন অমান্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে যারা জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করতে হল কর্তৃপক্ষকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্মদিবসে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘যেসব শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছে তাদের শোকজ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ তারিখের মধ্যে তারা জবাব দেবে। আর ৫ তারিখ চতুর্থ এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। আর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও খুব দ্রুত হলে উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’

করোনার কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস আবার চালু হয়েছে। পুরোদমে ক্লাস চলছে কেবল পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে। গত ১২ সেপ্টেম্বর ক্লাস চালুর পর শুরুতে অন্যান্য শ্রেণিতে সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেয়ার কথা বলা হলেও চলতি সপ্তাহ থেকে দুই দিন ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সশরীরে ক্লাস কবে শুরু হবে, সেটি এখনও অনিশ্চিত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই অনুমতি দেয়া হলেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও পর্যবেক্ষণ করতে চায় পরিস্থিতি।

সরকার যদিও জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করলেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস নেয়া শুরু করতে পারে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবার টিকা দেয়া নিশ্চিত করেই তারা ক্লাস শুরু করবে।

এ বিভাগের আরো খবর