বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার টিকা নিয়ে সুসংবাদ জানল বাংলাদেশ

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০৮

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বাংলাদেশের জনগণের ৪০ শতাংশের জন্য টিকা পাঠানোর বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এই টিকা পাঠানো হবে কোভ্যাক্সের আওতায়। এর আগে ২০ শতাংশের জন্য টিকা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য করোনার টিকা প্রাপ্তি সহজ করে দেবে।

সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার যত মানুষকে করোনার টিকা দিতে চায়, তার অর্ধেকের ব্যবস্থা তারাই করবে। আর এই টিকা আসবে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্সের আওতায়।

শুক্রবার বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডোস আধানম গাব্রিয়েসুসের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সম্মতি প্রকাশ করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য দ্রুত টিকা পাঠাতে সম্মত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।’

এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইজার ও মডার্নার টিকা বেশি পরিমাণে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ডব্লিউএইচও-প্রধান বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন বলেও মন্ত্রীকে আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আলোচনার প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে কোভ্যাক্সের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানান। এরপর ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক পর্যায়ক্রমে তা পাঠাতে রাজি হন।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার গণটিকা শুরু হয় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকার ওপর ভর করে। কিন্তু ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারতে করোনার ব্যাপক বিস্তারের কারণে দেশটি টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ কারণে সিরাম আর টিকা পাঠাতে পারেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডোস আধানম গাব্রিয়েসুসের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন

ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে কোভ্যাক্স থেকেও বাংলাদেশ তার প্রত্যাশিত টিকা পায়নি। কারণ, এই জোটেরও টিকা পাওয়ার কথা ছিল সিরাম থেকেই।

অবশ্য শুরুতে অনিশ্চয়তা থাকলেও কোভ্যাক্স পরে মডার্না ও ফাইজারের টিকা পাঠাতে শুরু করে। আর বাংলাদেশ সরকারও বিকল্প উৎস হিসেবে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রাশিয়ায় উৎপাদিত স্পুৎনিকের টিকা প্রযুক্তি আনার চেষ্টাও চলছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ কোটি মানুষের মধ্য ৮০ শতাংশ হিসেবে প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। সবাইকে দুটি করে টিকা দিলে লাগবে ২৬ কোটি টিকা।

এত বেশি টিকার সংস্থান করা বিশ্বের বর্তমান বাস্তবতায় বেশ কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে ডব্লিউএইচওর এই ঘোষণাটি সরকারের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই কোভ্যাক্সের আওতায় দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা পাওয়া সম্ভব হবে এবং খুব অল্প সময়েই দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা পাওয়া যাবে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও সরকারের টিকা কেনার কাজটিও চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়।

মন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক। পাশাপাশি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ‘ভ্যাকসিন টেস্টিং ক্যাপাসিটি অব দ্য ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি’র অ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

বৈঠকে গত দেড় বছরে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ কী কী উদ্যোগ নিয়েছে তা তুলে ধরেন মন্ত্রী। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক সব জেনে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর