বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৬ হাজার টাকা নিয়ে চোখে ইনজেকশনের বদলে পানি

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ২০:১৭

অভিযোগ উঠেছে, চোখের চিকিৎসায় ইনজেকশনের বদলে ডিস্টিলড ওয়াটার বা স্যালাইন পানি দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ মানতে রাজি নন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ নাইমুল হক। তার দাবি, ইনজেকশনই দেয়া হয়েছিল।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে ইনজেকশনের বদলে সিরিঞ্জে পানি ভরে পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। ইনজেকশন দেয়ার পর চোখের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রোগীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে দেখানোর পর বিষয়টি ধরা পড়ে।

অবশ্য সেই চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলছেন, রোগীর স্বজনরা কেন এই অভিযোগ তুলেছেন তা বোধগম্য নয়।

রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স ভবনে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন ওই রোগীর স্বামী রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশীদ।

তিনি জানান, কিছুদিন আগে তার স্ত্রী লায়লা রশীদের ডান চোখে সমস্যা দেখা দেয়। তখন ঢাকার আই কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জানান চোখে তিনটি ইনজেকশন দিতে হবে। একেকটির দাম পড়বে ৩০ হাজার টাকা।

তারপর স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহীতে ফিরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ নাইমুল হককে দেখান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনিও একই চিকিৎসার কথা বলেন। তবে ঢাকার চিকিৎসক যত টাকা চেয়েছিলেন, তার অর্ধেক টাকা নেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

তার পরামর্শে রোগীর চোখে তিনটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। এ জন্য নাইমুল নেন ৪৬ হাজার টাকা। কিন্তু তৃতীয় ইনজেকশন পুশের ১৫ দিন পর পুরোনো সমস্যা আবার দেখা দেয়।

এবার স্ত্রীকে ঢাকার আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করান হারুন। সেখানের চিকিৎসক জানান, রোগীর চোখে ইনজেকশন দেয়া লাগবে। তখন আগে ইনজেকশন দেয়ার কাজগপত্র দেখালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, চোখে ইনজেকশনে ওষুধের বদলে ডিস্টিলড ওয়াটার বা স্যালাইন পানি দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় রাজশাহী মেডিক্যালের চিকিৎসক নাইমুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান হারুনুর রশীদ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ নাইমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজশাহীতে রেটিনা নিয়ে মূলত আমিই কাজ করি। রোগীর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। ওই রোগীর চোখের যে অবস্থা ছিল তাতে তিনটি ইনজেকশন দেয়া প্রয়োজন ছিল। আমি তিনটিই দিয়েছি। এতে রোগীর ভিশন ইমপ্রুভ হয়েছিল। এখন ওনারা কেন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তা জানি না।’

এ বিভাগের আরো খবর