পেট জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে নওগাঁর পোরশায়। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষক বাবা।
নওগাঁর সারাইগাছী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দুপুর ১টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ যমজ শিশুর জন্ম হয়।
স্বজনরা জানান, সারাইগাছি বাজারের বেসরকারি ইসলামিয়া ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালে জোড়া লাগা দুই মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। তাদের মায়ের নাম ফিরোজা বেগম, বাবা জাহাঙ্গীর আলম। তাদের বাড়ি উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামে। প্রসূতিসহ দুই নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো। তবে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করাসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নূর নবী বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ফিরোজা বেগমকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শনিবার দুপুরে ডা. নূর মোহাম্মদ সফল অস্ত্রোপচার করেন। জন্মের পর শিশু দুটির তেমন শারীরিক জটিলতা দেখা যায়নি।
‘যেহেতু জোড়া লাগা অবস্থায় শিশুর জন্ম হয়েছে, তাই উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। নওগাঁয় জোড়া লাগা শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এ জন্য বিকেলেই রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
চিকিৎসক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘জোড়া লাগা যমজ শিশুর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। জন্মের পরই যেন শিশু দুটি ভালো চিকিৎসা পায়, সে জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি কৃষক। নিজের জমি আছে অল্প, অন্যের জমিতে চাষাবাদ করি। কোনো রকমে সংসার চলে। শিশুর জন্মে আমরা খুশি, কিন্তু তাদের চিকিৎসায় কী লাগে তা নিয়ে চিন্তায় আছি। রাজশাহীর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, দেখি সেখানে কী হয়।’