মোহাম্মদপুর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. হাসানুজ্জামান রিমান্ড শেষে কাজী ইব্রাহীমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ধর্মীয় নানা ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানকে জড়িয়ে একের পর এক উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা কাজী ইব্রাহীমের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জামিন আবেদন করেন।
তিনি শুনানিতে বলেন, ‘মুফতি কাজী ইব্রাহীম একজন দ্বীনদার আলেম। জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো অনাগ্রহ নেই। তাই তাকে জামিন দিতে পারেন। তিনি আদালতের নিয়ম মেনে হাজিরা দেবেন। আইনি কোনো ব্যত্যয় করবেন না। যে কোনো শর্তে আমরা তার জামিন আবেদন করছি। দয়া করে তার জামিন মঞ্জুর করবেন।’
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করেন মোহাম্মদপুর থানান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কাজী ইব্রাহীমকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
সম্প্রতি ওয়াজমাহফিল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মুফতি কাজী ইব্রাহীম নানান বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন। তার বক্তব্যের অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে ইব্রাহীমকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়।
জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটি করেন। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।
রানার করা মামলায় একটি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ, চাঁদা দাবি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর গোয়েন্দা পুলিশের মামলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ‘উগ্র বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।