বরিশালে শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যাণ ফির নামে চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে ছয় দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন থ্রি হুইলার চালকরা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সামনে শনিবার দুপুরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন শতাধিক থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা ও সিএনজি অটোরিকশাচালক।
শ্রমিকরা জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তাদের আয় কমেছে। তার মধ্যে বরিশাল জেলা অটোরিকশা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নামে অতিরিক্ত চাঁদা নেয়া হচ্ছে। শ্রমিক কল্যাণের কথা বলে বছরের পর বছর চাঁদা আদায় করছে সংগঠনটি। কিন্তু করোনাকালীন সংগঠন থেকে কোনো শ্রমিক এক কেজি চালও পাননি। খোঁজ নেয়া হয়নি অসুস্থ শ্রমিকদের।
শহরের মধ্যে গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় প্রতিদিনই ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। এ ব্যাপারে সংগঠনের কোনো লোক পাশে থাকে না। শুক্রবার রাস্তায় যাত্রী কম থাকে কিন্তু গাড়ি ভাড়া কম নেন না মালিকরা।
শ্রমিকদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো ৬০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা করতে হবে। শুক্রবার গাড়ি ভাড়া অর্ধেক নিতে হবে। লঞ্চঘাট থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত ভাড়া ১৫ টাকা করতে হবে। বরিশাল জেলা অটোরিকশা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের কল্যাণ ফির চাঁদা ২০ টাকা করতে হবে এবং সেই টাকা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের দিতে হবে। নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের জায়গা করতে হবে। শ্রমিকদের বিপদে তাদের পাশে থাকতে হবে।
কালাম নামে এক সিএনজি অটোরিকশার চালক বলেন, ‘আজ চারজন লোক নিয়ে নথুল্লাবাদ থেকে লঞ্চঘাটে এসেছি। আয় হয়েছে মাত্র ৪০ টাকা। কিন্তু লঞ্চঘাটে কল্যাণ ফির ২০ টাকা চাঁদার রসিদের বদলে একটি ৩০ টাকা চাঁদার রসিদ দেন মেম্বার সবুজ জমাদ্দার। পরে আমি জানতে চাইলে সবুজ বলেন, এখন থেকে ২০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা চাঁদা ঠিক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ টাকার পরিবর্তে কেন ৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদে আমরা শ্রমিকরা এক হয়ে ছয় দফা দাবি নিয়ে গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করি। পরে সংগঠনের কিছু লোক এসে আমাদের সঙ্গে খুব শিগগির বসবে বলে আশ্বাস দেয়ার পর আমরা চলে আসি।’
বরিশাল জেলা অটোরিকশা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক শামিম বলেন, ‘২০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা নেয়ার কারণে শ্রমিদের সঙ্গে একটু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তা সমাধান হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়ন করব।’