পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যুবককে সারারাত বেঁধে রেখে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ বছরের বিপ্লব ফকির মারা যান। তিনি উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর জিগাতলা গ্রামের পান্না ফকিরের ছেলে।
মাদক সেবনে বাধা দেয়ার কারণেই হত্যার ঘটনা বলে নিশ্চিত করেন রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিপ্লবের সঙ্গে কিছুদিন আগে প্রতিবেশী মাদকসেবী যুবক পলাশ ফকিরের ছেলে শান্তর কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় বিপ্লবের চাচা রতন শান্তকে চড়-থাপ্পড় মারে। শান্ত তখন বিপ্লব ও রতনকে হত্যার হুমকি দেয়।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় শান্ত কৌশলে মোবাইল ফোনে বিপ্লবকে ডেকে নেন। এরপর জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে তাকে মুখ বেঁধে রেখে সারারাত ব্যাপক নির্যাতন চালান। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিপ্লবের পরিবার তাকে পায়নি। সকালে প্রতিবেশী জ্যোৎস্না নামে এক নারীকে শান্ত নিজেই জানায় বিপ্লব স্কুলের ছাদে আছেন।
বাবা পান্না ফকির বলেন, সকাল ৮টায় স্কুলের ছাদ থেকে বিপ্লবকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সে মারা যায়। তিনি জানান, বিপ্লবের সারা শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শান্তর বড় ভাই তহিদুলকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযুক্ত শান্ত ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
বিপ্লব পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন, তার এক বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান আছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ নিউজবাংলাকে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের পাবনা মর্গে পাঠানো হবে। খুনের পুরো বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।