এক ভুক্তভোগীর মামলায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ সুপার রেজাউল মাসুদ।
রাজধানীর ভাটারা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণার অভিযোগে সাইফুলসহ রিং আইডির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিআইডির কর্মকর্তা রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিং আইডির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছেন সাইফুল।’
তার কাছে থেকে আরও তথ্য জানতে শনিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘রিং আইডি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যাপ লঞ্চ করলেও পরে তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে আমানত সংগ্রহ করেছেন। তারা গত তিন মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার ওপর টাকা তুলেছেন।’
এসএসএল নামের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ১২ হাজার ও ১৫ হাজার টাকার প্যাকেজের আওতায় গ্রাহকদের কাছ থেকে এসব অর্থ আদায় করেছে বলেও জানান এই সিআইডি কর্মকর্তা।
রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘আমরা তাদের তিনটি ব্যাংকে হিসাব যাচাই করে শুধু গত তিন মাসের এই চিত্র পেয়েছি। তারা আরও আগে থেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা তুলছে, যা একেবারেই বেআইনি। কারণ তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে আসছিল।’
গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া এই অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘রিং আইডি এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। আর এই বিপুল টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে কি না, তা নিয়ে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে সিআইডি। প্রমাণ পাওয়া গেলে রিং আইডির মালিকদের মানি লন্ডারিং মামলার আওতায় আনা হবে।’
রিং আইডির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককেও অনুরোধ জানিয়েছে সিআইডি।