বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাশবনে আগুন দিল কে?

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪২

একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাশবনে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা অসামাজিক কর্মকাণ্ড করত। এ নিয়ে এলাকার মানুষ দুই পক্ষ হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে এই দুই পক্ষে ঝগড়া বাধে। এরপর রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে গোলাপগঞ্জের চৌঘুরি এলাকায় একটি কাশবন।

শুভ্রতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই এখানে ভিড় করতেন অসংখ্য দর্শনার্থী। দূর-দূরান্ত থেকেও আসতেন অনেকে। কিন্তু শুক্রবার রাতে আচমকা এই বনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুড়ে যায় সব কাশফুল।

কাশবনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। তবে কে বা কারা এখানে আগুন লাগিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কাশবনে বেড়াতে এসে তরুণ-তরুণীরা ‘অশ্লীল ও অসামাজিক’ কাজে জড়ায়। এটি ঠেকাতে এলাকার যুবকরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌঘুরি এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি জমিতে বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। সেই বালুর ঢিবিতে গজিয়ে ওঠে কাশবাগান। এই শরতে যা ফুলে ফুলে সাদা হয়ে যায়। ফেসবুকে চৌঘুরি কাশবাগানের ছবি ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করতেন প্রচুর দর্শনার্থী।

চৌঘুরি এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, গ্রামের ভেতরের এই কাশবাগানে দূর-দূরান্তের ছেলে-মেয়েরা এসে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলত। অসামাজিক কর্মকাণ্ড করত। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। এ কারণে গ্রামের মুরব্বিয়ান ও যুবসমাজ ক্ষুব্ধ ছিল। কাশবাগানে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় ঝগড়া হচ্ছিল।

তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন হাসনাত।

কারা আগুন দিয়েছে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক আহমদও। তিনি বলেন, ‘এখানে মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করত। কাল রাতে শুনি কারা যেন আগুন দিয়ে দিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, কেউই আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেনি। আগুন লাগাতেও দেখেনি।’

যদিও এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাশবনে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা অসামাজিক কর্মকাণ্ড করত। এ নিয়ে এলাকার মানুষ দুই পক্ষ হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে এই দুই পক্ষে ঝগড়া বাধে। এরপর রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম কবির বলেন, এই কাশবনে প্রচুর দর্শনার্থী আসতেন। রাতে এটি আগুনে পুড়ে গেছে বলে শুনেছি। তবে কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।

এ বিভাগের আরো খবর