চট্টগ্রামের যে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে সেই নালায় বাঁশের বেড়া ভেঙে ইটের দেয়াল দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বাঁশের বেড়ার জায়গায় ইটের দেয়াল দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় মঙ্গলবার রাতে ওই খোলা নালার আশেপাশে দেয়া বাঁশের বেড়া সরিয়ে ইটের দেয়াল তোলা হয়েছে।
ইয়ামিন আলম নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাদিয়ার মারা যাওয়ার পর শুরুতে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছিল। কালকে (শুক্রবার) থেকে দেখি ইটের দেয়াল। সত্যি কথা বলতে কী জানেন? বড় কোনো ঘটনার আগে কারো ঘুম ভাঙে না। এখন কেউ হয়তো আর ওই নালায় পড়বে না, কিন্তু সাদিয়াকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে?’
মাজার গেইট এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার হাসমাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন বলে সিডিএর দোষ, সিডিএ বলে সিটি করপোরেশনের দোষ। এখন এরা দোষ চাপাচাপি করবে, আর সেই চাপায় আমরা সাধারণ মানুষ পড়ে মারা যাব। সাদিয়ার আগেও তো এখানে ৭-৮ জন মানুষ পড়ছে, তখন কেনো দেয়াল তোলা হয় নি? এখন দেয়াল দিয়ে কী হবে? তরতাজা প্রাণটা কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে?’
এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদের মাঝার গেইট এলাকায় অসাবধানতাবশত ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন শেহেরিন মাহমুদ সাদিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।