জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে বাবলুর মরদেহ রাখা হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে বাবলুর নামাজে জানাজা হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুতে তিন দিনের দলীয় শোক ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
রোববার বিকেল তিনটায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাকরাইল চত্বরে শোক সভা অনুষ্ঠিত হবে। শোক সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পার্টি ঘোষিত তিন দিনের শোক দিবসের মধ্যে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কার্যালয়ে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শোকবার্তায় প্রয়াত নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তিনি।
পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
শোকবার্তায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি ছাত্র জীবন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। ছাত্র জীবনেই তার অনুপম নেতৃত্ব প্রকাশ হয়েছিল। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাকসুর জিএস। মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সবসময় ছিলেন আপোষহীন। তিনি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন আজীবন।
জিএম কাদের বলেন, ‘জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ছিলেন গণমানুষের কন্ঠস্বর। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হবার নয়। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু তার কল্যাণময় কর্মের মাঝে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।’
রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শনিবার সকাল ৯টা ১২ মিনিটে মৃত্যু হয় বাবলুর। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। রেখে গেছেন এক ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।
বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বাবুল দুই দফায় দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো মহাসচিবের দায়িত্ব পান ২০২০ সালের জুলাইয়ে।