জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও উচ্চ পর্যায়ের কিছু আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার রাতে সরকারপ্রধান দেশে ফিরছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি হয়ে দেশে ফিরলেন তিনি।
ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলসিংকির উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি হেলসিংকি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
হেলসিংকিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম।
এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পৌঁছান।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৬তম ইউএনজিএ ও কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব আলোচনায় অংশ নেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন।
নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারা রোপণ করেন।