বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ নয়, পরীক্ষা স্থগিত

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৫৬

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান পরীক্ষা পরর্বতী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। শুধুমাত্র চলমান পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান পরীক্ষা পরর্বতী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট (বিশেষ) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ছবি: সংগৃহীত

উত্তাল ক্যাম্পাস

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার দাবিতে ক্যাম্পাস এখনও উত্তাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিনকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে অবস্থান ধর্মঘট করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্থগিত করা হয় সব পরীক্ষা।

শিক্ষক ফারহানাকে সাময়িক বহিষ্কারের পর শিক্ষার্থীরা অনশনের মতো কঠোর আন্দোলন থেকে সরে আসলেও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে ফের কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ কে এম নাজমুল হাসান, ঐশী, আবু জাফর ও শামীম হোসাইন জানান, শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার আগ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান লাইলা ফেরদৌস হিমেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’

কী হয়েছিল সেদিন

২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দরজায় কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের সামনের অংশের বেশ খানিকটা কেটে দেন তিনি। এভাবে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটা পড়ে।

ওই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সোমবার দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। মীমাংসা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে নাজমুল হাসান তুহিন নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের হুমকি দেন।

এই ঘটনার পর ‘অপমান সইতে না পেরে’ তুহিন রাতে দ্বারিয়াপুরের শাহমুখদুম ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে দরজা আটকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর