করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর শনাক্তের হার বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন হয়। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশে। এই হার টানা দুই দিন তিনের ঘরে থাকল। এ নিয়ে টানা ১১ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচেই থাকল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ৮৪৭ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৮ জন। আর মারা গেছে ২৭ হাজার ৫৩১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা ১৪ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়।
সেই হিসাবে আর টানা আর তিন দিন শনাক্তের হার পাঁচের নিচে থাকলেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে।
২১ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পরের দিন বুধবার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৪ দশমিক ৬১ এবং শুক্রবার ছিল ৪ দশমিক ৫৬। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ এবং রোববার সেই হার কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৪১ শতাংশে। সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মঙ্গলবার শনাক্তের হার কমে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়ায়। বুধবার এই হার ছিল ৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার ছিল সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১২, নারী ৯ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮, ষাটোর্ধ্ব ৪ ও সত্তরোর্ধ্ব ৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৫, বরিশাল ১, খুলনা ৫, সিলেট ১, বরিশাল ১, জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৯৬০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৯০১ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩।