বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্লিন ফিডে লাভ দেশের মিডিয়ার: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:২৩

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিন ফিড না চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।’

বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) প্রচারে দেশের সম্প্রচারশিল্প লাভবান হবে বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

চ্যানেল আইয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকেই সারা দেশে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড ছাড়া সম্প্রচার না করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হয়। ক্লিন ফিড না থাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই দেশের বেশিরভাগ স্থানে বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি চ্যানেলগুলো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিন ফিড না চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।

‘ক্লিন ফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে কারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম নীতিমালার খসড়া হয়েছে বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে; খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাস হলে, প্ল্যাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (কোয়াব) সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দিন মাসুদ নিউজবাংলাকে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘পয়লা অক্টোবর থেকেই আমরা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কোনো চ্যানেলেরই ক্লিন ফিড পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা সম্প্রচার বন্ধ রেখেছি।

‘ডিস্ট্রিবিউটররা হয়তো বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে কিছু সময়ও চেয়েছেন। ক্লিন ফিড যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না, এটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করব না।’

এদিকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিন ফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এবং টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।

বিজেসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০০৬ সালের ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে ক্লিন ফিড সম্প্রচারের কথা থাকলেও এ বিধান কার্যকরে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বর্তমান তথ্যমন্ত্রীর ‘সাহসী পদক্ষেপকে’ স্বাগত জানিয়েছে বিজেসি।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এতে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর