বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মায় দ্বিতীয় সেতুর বদলে টানেল, আরেকটি হবে যমুনায়

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫৩

নদী বাঁচাতে হবে। তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এতো ব্রিজ করার দরকার কী? পদ্মা সেতু একটা হয়েছে, এখন দাবি উঠেছে দৌলতদিয়ায় আরেকটি সেতুর। দুটি সেতু হলে নদীর নাব্যতার কী হবে? এটা কিন্তু আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কাজেই সেতু না করে আমরা আন্ডারপাস করার চিন্তা ভাবনা করছি: ওবায়দুল কাদের

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনতে যাচ্ছে সরকার। সেখানে সেতুর বদলে টানেল নির্মাণ করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা হচ্ছে।

নদীর নাব্যতা রক্ষায় এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি। যমুনা নদীতেও জামালপুর থেকে গাইবন্ধা পর্যন্ত আরও একটি টানেল করার পরিকল্পনা হয়েছে বলেও জানয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উদযাপনে শুক্রবার রাজধানীতে এক আয়োজনে এ কথা জানান মন্ত্রী।

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম, নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারটি হয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।

মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই এলাকা দিয়ে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় ছিল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটও।

এই দুটি রুট দিয়েই দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা যাতায়াত করে এবং দুই রুটেই নদী পারাপারে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয় মানুষ।

পদ্মাসেতু উদ্বোধন করার কথা আছে আগামী জুনে। এর আগেই দ্বিতীয় সেতুর আলোচনা সামনে এনেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের পরিকল্পনায় বদল এনে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সেখানে সেতুর পরিবর্তে আন্ডারপাস বা টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।’

পরিকল্পনায় এই বদল কেন, তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। বলেন, ‘নদী বাঁচাতে হবে। তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এতো ব্রিজ করার দরকার কী?

‘পদ্মা সেতু একটা হয়েছে, এখন দাবি উঠেছে দৌলতদিয়ায় আরেকটি সেতুর। দুটি সেতু হলে নদীর নাব্যতার কী হবে? এটা কিন্তু আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কাজেই সেতু না করে আমরা আন্ডারপাস করার চিন্তা ভাবনা করছি।’

কাদের বলেন, ‘জামালপুরে-দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের টানেলের দিকে নজর দিতে হবে।’

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেল দিয়ে টানেলের কাজ ৭৫ শতাংশ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এক্সপ্রেসওয়ে আরও হবে

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা মাওয়ার মতো এক্সপ্রেসওয়ে ইউরোপের অনেক দেশেও নাই। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নেই।’

গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা থেকে রংপুর, রংপুর থেকে যাবে পঞ্চগড় একটা লালমনিরহাটের বুড়িমাড়ী সীমান্ত পর্যন্ত আরও এক্সপ্রেসওয়ে হবে বলেও জানান তিনি।

বলেন, ‘এগুলো আমাদের পরিকল্পনা। এর কাজ চলছে। খুলনা-মংলা-বাগেরহাট এগুলোও আমাদের কাজেরই অংশ। এখানে নতুন কোনো পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই।

‘এগুলোর বাইরে ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ যতো দ্রুত শেষ করা যায়। আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চার লেন। সেটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ওটাও দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’

ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কও চার লেন কেরতে এডিবির সঙ্গে কথা হয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আগামী বছর এদেশের সড়ক যোগাযোগের চেহারা পাল্টে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল, ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, পদ্মা সেতু সব উদ্বোধন হবে।’

‘আমাদের ভিশন আর বিএনপির ভিশন এক নয়’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার ভিশন বাস্তবায়নে সব পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, মাস্টারপ্লান করেছেন এবং কাজ যখন যেটা করার দরকার সেটি করছেন। আমাদের ভিশন বিএনপির ভিশন নয়।’

গত নির্বাচনে বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এটা হলো নির্বাচনকে সামনে রেখে পলিটিক্যাল স্টান্ডবাজি। ওটা বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর আলোর মুখ দেখবে না। বিএনপি নির্বাচন করবে কী দিয়ে?

‘আগামী বছর যখন এসব মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হতে থাকবে, বিএনপি চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। এমনিতেই নেতিবাচক রাজনীতি করে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নির্বাচন বর্জন করে আপনারা জনগণ থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।’

যশোর-খুলনা মহাসড়কটি বারবার নষ্ট হচ্ছে কেন তা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্কার করারও নির্দেশ দেন সড়ক মন্ত্রী। বলেন, ‘রাস্তা করে রক্ষণাবেক্ষণ না হলে তার সুফল পাওয়া যাবে না।’

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং দলীয় সভাপতি লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হোসেন মনসুরের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সবুরও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর