আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উদযাপিত হয়েছে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
শুক্রবার সকাল ১১টায় এই আয়োজনে উপস্থিত হয়ে কেক কাটায় অংশ নেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিউল আলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, নারী সংহতির সভানেত্রী পপি রানী সরকার, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মজিবুল হক পলাশ, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমানসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকর্মীরা।
কেক কাটার আগে আলোচনা সভায় অতিথিরা নিউজবাংলায় গত এক বছরে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ নিয়ে আলোচনা করেন। অগ্রযাত্রার এক বছর উপলক্ষে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিউল আলম বলেন, ‘আমরা যে স্বপ্ন দেখছি উন্নত বাংলাদেশের, সবাই যে যার অবস্থান থেকে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞানচর্চা এবং পেশাদার সাংবাদিকতার এ বিষয়ে সন্নিবেশ প্রয়োজন। তাহলেই আমরা আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘করোনাকালীন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকার। এ জন্য সরকারের নানা উন্নয়নের দিকগুলো সংবাদমাধ্যম আরও বেশি তুলে ধরবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যম হচ্ছে জনগণের অধিকার, দেশের বিকাশের জন্য সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম। মানুষ ও সমাজের মাঝে যেসব অসংগতি রয়েছে সেগুলো তুলে ধরার মাধ্যম। মানুষের, সমাজের ও রাষ্ট্রের যেসব ভালো দিক রয়েছে, সেগুলো উপস্থাপন করে এই সংবাদমাধ্যম। সে ক্ষেত্রে এই নিউজবাংলা গত এক বছরে আমরা দেখেছি, তারা নিরলসভাবে মানুষের ও সমাজের যেসব অসংগতি রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেছে।’
জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিউজবাংলার অগ্রযাত্রার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ও নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে আমি অভিনন্দন জানাই।’
নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের সংবাদগুলো বস্তুনিষ্ঠভাবে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরায় নিউজবাংলার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নারী সংহতির সভানেত্রী পপি রানী সরকার।