বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিমন্ত্রীর জমি নিবন্ধনে ‘ঘুষ’: ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দাবি

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৩১

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে মনিরামপুরের সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলীর দাবি, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে ভুল বুঝিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যের ‘ঘুষ দিতে না পারায় জমি রেজিস্ট্রি হয়নি’ বক্তব্যের পর মনিরামপুরের সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বদলি করা হয়েছে এক মোহরারকে। আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) শহিদুল ইসলাম ঝিনুক স্বাক্ষরিত নোটিশটি বৃহস্পতিবার পান সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী। রাতেই তিনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী জানান, তিনি ছাড়া তার অফিস সহকারী শেখর চন্দ্র দে একই নোটিশ পেয়েছেন। এ ছাড়া মোহরার শামসুজ্জামান মিলনকে বাঘারপাড়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে শাহজাহান আলীর দাবি, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে ভুল বুঝিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বদলি করা মোহরার শামসুজ্জামান মিলন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভর নামে একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে আসেন দলিল লেখক কামরুজ্জামানের সহকারী গৌতম ঘোষ বাপি।

‘এ সময় দেখতে পাই, দলিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাংকের পে-অর্ডার নেই। সেটি চাইলে বাপি উত্তেজিত হয়ে চলে যান।’

তিনি আরও জানান, ‘ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে পে-অর্ডারসহ দলিল নিয়ে আবার আসেন বাপি। তখন দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয়। সাথে সাথে দলিলের নকল চান বাপি। মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মানে দুই ঘণ্টার মধ্যে তার হাতে তা দেয়া হয়।’বাপি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই সময় তাকে অসম্মান করেন বলে অভিযোগ করেন এ মোহরার।

প্রতিমন্ত্রীর ছেলের কেনা জমির দাম নিয়ে আবার মিলেছে দুই রকম তথ্য।

মোহরার শাহজাহান আলী বলেন, ‘সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ দুই একর জমি কিনেছেন মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে। জমি ওই ইউনিয়নের বাসুদেবপর মৌজার ৭৩/৭৭/৭৮/৭৯ দাগ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। জমির মূল্য দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ লাখ টাকা।’জমি বিক্রেতা রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান অবশ্য জানিয়েছেন ভিন্ন তথ্য। তিনি বলেন, ‘দুই একর জমি বিক্রি বাবদ আমি ৮০ লাখ টাকা পেয়েছি।’

এর আগে বুধবার যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, ‘সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আমি গত সপ্তাহে একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে দুর্নীতির রেট অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় সেই জমি রেজিস্ট্রি হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর