জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও উচ্চ পর্যায়ের অন্য কিছু পার্শ্ব আলোচনা শেষে শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি হয়ে দেশে ফিরবেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলসিংকির উদ্দেশে রওনা দেবে। বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি হেলসিংকি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
হেলসিংকিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম।
এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক পৌঁছান।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৬তম ইউএনজিএ ও কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব আলোচনায় অংশ নেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন।
নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারা রোপণ করেন।