বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুষ ছাড়া কাজ অসম্ভব

  •    
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:১৩

মণিরামপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমরা যে টাকা জমির ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদেরও তার ভাগ দিতে হয়।’ সাব-রেজিস্ট্রার সাজাহান আলী বলেন, ‘মণিরামপুর দলিল লেখক সমিতির কোনো বৈধতা আছে কি না আমার জানা নেই।’ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘুষ না দিলে রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য কেউই ঘুষ ছাড়া সহজে সেখানে কাজ করতে না পারার অভিযোগ উঠেছে।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ টাকার ভাগ কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বললেও সাব-রেজিস্ট্রার সাজাহান আলী জানান, মণিরামপুর দলিল লেখক সমিতির কোনো বৈধতা আছে কি না, তার জানা নেই।

প্রতি সপ্তাহে রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার মণিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি রেজিস্ট্রির কার্যক্রম চলে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার মধ্যে কোনো জমির দলিল করতে হলে প্রতি লাখে সাড়ে ৮ হাজার টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে।

কিন্তু দলিল লেখক সমিতির ৭ কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে প্রতি দলিলে সাড়ে ১৬ হাজার হারে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে পৌরসভার বাইরে ইউনিয়নের কোনো জমির দলিল করতে গেলে সেখানেও তারা প্রতি লাখে সাড়ে ৬ হাজার টাকার পরিবর্তে হাতিয়ে নেন সাড়ে ১৪ হাজার টাকা।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমরা যে টাকা জমির ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদেরও তার ভাগ দিতে হয়।

‘তারা হচ্ছেন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, কোষাধ্যক্ষ গোপি কান্ত ঘোষ এবং সদস্য পদে মীর রহমান, মোহাম্মদ আলী, গোবিন্দ ও নিত্য।’

অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ দলিল লেখকরা তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে রয়েছে।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, দলিল লেখক সমিতি নিবন্ধনভুক্ত নয়। অলিখিতভাবে ১৯৭ জন সদস্য দেখিয়ে সমিতি গঠন করা হয়েছে।সাব-রেজিস্ট্রার সাজাহান আলী বলেন, ‘মণিরামপুর দলিল লেখক সমিতির কোনো বৈধতা আছে কি না, আমার জানা নেই।’

ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।উল্লেখ্য, মণিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন এমন অভিযোগ চলে আসছিল।

তবে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেয়ার সময় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দিকে আঙুল তোলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের অফিসে লেখা স্লোগানের বিপরীত অবস্থা তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, তার ছেলেও সেখানে জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে ঘুষ না দেয়ায় রেজিস্ট্রি করতে পারেননি।

এ বিভাগের আরো খবর