মাদারীপুর সদর উপজেলায় এনজিওর কিস্তি শোধ করতে না পারায় এক প্রসূতিকে দীর্ঘক্ষণ শাখা অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় এনজিও অফিসে বুধবার রুমা আক্তার নামে ওই নারীকে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়।
এনজিওটির ম্যানেজার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশন নামের এনজিওটি থেকে চলতি বছরের মার্চে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন নয়ারচর গ্রামের ভ্যানচালক মোস্তাকিন ব্যাপারীর স্ত্রী রুমা।
করোনা পরিস্থিতিতে তিনি নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। বুধবার দুপুরে রুমাকে ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দেন এনজিওটির মস্তফাপুর শাখার মাঠ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার। একপর্যায়ে তাকে জোর করে এনজিও অফিসে নিয়ে আটকে রাখেন।
রুমা জানান, তার স্বামী ভ্যানচালক। করোনার কারণে ভ্যানে যাত্রী কম হওয়ায় আয় কমে গেছে। এ কারণে তিনি চলতি মাসের কিস্তির টাকা দিতে পারেননি। পরে এনজিওটির কর্মকর্তা মৌসুমী বুধবার তাকে জোর করে অফিসে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, সেখানে মৌসুমী তাকে নানা হুমকি-ধমকি দেন। কিস্তির টাকা শোধ করে তাকে ছাড়াতে হবে বলেও জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন মাতুব্বর বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিতে না পারার কারণে এক প্রসূতি নারীকে এনজিওর লোকজন অফিসে আটকে রেখেছে। ঘটনাটি অমানবিক। আমরা এর বিচার চাই।’
তবে মস্তফাপুর শাখার মাঠ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার দাবি করেন, তিনি ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিয়েছেন। তবে আটকে রাখেননি।
ঋণগ্রহীতা দীর্ঘদিন ধরে কিস্তি দিচ্ছেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।