বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসএমই বোর্ড: শেয়ারদরে লাফ, লেনদেন খুবই কম

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:১৩

পুঁজিবাজারের অন্য সব কোম্পানির শেয়ারদর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারলেও এই প্লাটফর্মের কোম্পানির ক্ষেত্রে দর বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা আছে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২০ শতাংশ। যে ছয়টি কোম্পানির লেনদেন শুরু হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটির দামই সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। একটির লেনদেন হয়নি।

গ্রিনফিল্ড বা এখনও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসেনি এমন কোম্পানি আর ওটিসে থেকে আসা মিলিয়ে এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন শুরুর দিন সব কটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। তবে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে নগণ্য সংখ্যক। অর্থাৎ এখন যে দাম, সে দামে বিক্রি করতে রাজি নন শেয়ারধারীরা।

বৃহস্পতিবার ছয়টি কোম্পানিকে নিয়ে এই এসএমই বোর্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। একটির লেনদেন হয়নি।

পুঁজিবাজারের অন্য সব কোম্পানির শেয়ারদর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারলেও এই প্লাটফর্মের কোম্পানির ক্ষেত্রে দর বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা আছে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ২০ শতাংশ।

এই প্ল্যাটফর্মে মূলত পুঁজিবাজারের যোগ্য বা প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা বেচা করতে পারবে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের পুঁজিবাজারে এক কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ আছে তারও শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবে।

ওটিসি মার্কেট থেক ফেরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার যেসব সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকবে তিনি তার শেয়ার এই মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্ত শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন না।

ডিএসইর পাশাপাশি চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই) এর ইনডেক্স বোর্ড - এ ‘সিএসই এসএমই ইনডেক্স’ নামে একটি নতুন ইনডেক্স যুক্ত করেছে। এই প্ল্যাটফর্মে পাঁচটি কোম্পানির প্রথম ট্রেডিং হয়েছে।

২০১৯ সালে এসএমই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হলেও লেনদেন শুরু হয়েছে দুই বছর পর।

এসএমই বোর্ডে লেনদেন শুরু করা ছয় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই, এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা

কেমন ছিল লেনদেন

যে ছয়টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু করেছে, তার মধ্যে দুটি নতুন অনুমোদন পাওয়া। এবং চারটি ওটিসি মার্কেট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

নতুন অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক ও অরিজা এগ্রো। ওটিসি থেকে এসেছে হিমাদ্রি, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ, বেঙ্গল বিস্কুটস ও অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস।

লেনদেনে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত অরিজা অ্যাগ্রোর শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা। এদিন কোম্পানিটির দুটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০টি।

কোম্পানিটিও প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকায় কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। এই কোম্পানিটির এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

মাস্টারফিড অ্যাগ্রোটেকের শেয়ারদরও বেড়েছে সমপরিমাণ। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা। হাতবদল হয়েছে কেবল তিনটি শেয়ার।

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানির কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করা হবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা।

ওটিসির চার কোম্পানি

ওটিসি থেকে ফেরা চার কোম্পানির মধ্যে বেঙ্গল বিস্কুট কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৫০ শতাংশ। শেয়ার দর ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ টাকা ৩০ পয়সা। মোট দুটি লেনদেনে ২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এই কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দিনে এরচেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না।

খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে এই কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজের শেয়ার দর নির্ধারণ করা হয় ১৬ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে লেনদেনে প্রথম দিনে দিনের সর্বোচ্চ ১৯.৮৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। একদিনে এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না। এই দামে হাতবদল হয়েছে দুটি শেয়ার।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা।

ডিএসইর এসএমই বোর্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

বস্ত্র খাতের অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিংয়ের দর ১২ টাকা থেকে দিনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এই দরে বিক্রি হয়েছে ৫টি মাত্র শেয়ার।

কোম্পানিটির রিজার্ভ ঘাটতি আছে ৮৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

হিমাদ্রির শেয়ার দর ৮ টাকায় শুরু হলেও কোনো লেনদেন হয়নি।

কোম্পানিটির পরিশোধিত ‍মূলধনের পরিমাণ ৭৫ লাখ টাকা। বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটির রিজার্ভে জমা আছে ১৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় যেগুলো

নিয়ালকো এলয়েজ

এসএমই খাতে প্রথম কোম্পানি হিসেবে এটিকে অনুমোদন দেয়া হয় ১৫ এপ্রিল। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোম্পানিটি ৭৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ করবে।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা।

মোস্তফা মেটাল

বিএসইসির ৭৮০তম কমিশন সভায় মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ১১ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়। পুঁজিবাজারের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এই পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ করবে মোস্তফা মেটাল।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কৃষিবিদ ফিড

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কারখানা ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডিজেল জেনারেটর ক্রয়, ডেলিভারি ভ্যান ক্রয় এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৬৭ পয়সা।

ওটিসি থেকে এসএমই বোর্ডে যাচ্ছে যেগুলো

ওটিসিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি যাবে এসএমই বোর্ডে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে উৎপাদনে থাকা চারটি ইতোমধ্যে লেনদেন শুরু করেছে। ফলে ওটিসির আরও ১৯টি কোম্পানি পর্যায়ক্রমে এই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

এছাড়া এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে উৎপাদনে থাকা কোম্পানির মধ্যে আছে বাংলাদেশ হোটেল লিমিটেড, গচিহাটা অ্যাকোয়াকালচার, ইউসুফ ফ্লোর মিলস।

উৎপাদনে না থাকা ১৬ কোম্পানির মধ্যে আছে আল আমীন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস, আলফা ট্যোবাকো, আমান সি ফুড, আশরাফ টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স মিটার কোম্পানি, বাংলাদেশ লিফ ট্যোবাকো কোম্পানি, বেঙ্গল ফাইন সিরামিক, বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট, ঢাকা ফিশারিজ, লেক্সকো লিমিটেড, মেঘনা শিম্প কালচার লিমিটেড, রাসপিড ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকম, রাঙ্গামাটি ফুড, থ্যারাপিউটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও জাগো কররেশনও লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর