বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা কেন?

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:১১

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাউথ এশিয়ান ডিরেক্টর মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি সব সময় তাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ ছিলেন। তার মৃত্যু শুধু রোহিঙ্গাদের অধিকারকে অবজ্ঞা করবে না, তাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগেও বিঘ্ন ঘটাবে।’

এশার নামাজ শেষে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নিজের অফিসে বসে ছিলেন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। সেখানেই হাজির হয় ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল। মুহিবুল্লার বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান তাদের একজন।

বুধবার রাতে প্রায় বিনা বাধায় রোহিঙ্গাদের প্রভাবশালী এই নেতাকে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা।

২০১৮ সালে রোহিঙ্গা আগমনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এই মুহিবুল্লাহর ডাকেই বালুখালির এক্সটেনশন মাঠে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় পাঁচ লাখ নারী-পুরুষ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে হওয়া ওই সমাবেশের খবর ফলাও করে প্রচার করেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন মুহিবুল্লাহ। এর প্রথমেই ছিল মিয়ানমারের আরাকানের পিতৃভূমিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন। তবে শর্ত ছিল, এজন্য অবশ্যই মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের হারানো সম্মান, মর্যাদা ও নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে।

মুহিবুল্লাহর এই দাবি সাধারণ রোহিঙ্গাদেরও প্রাণের দাবি। এ কারণে মুহিবুল্লাহকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন তারা।

এই সমাবেশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও মিয়ানমার সরকারের জন্য বিব্রতকর ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে এটি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের নতুন রাস্তা খুলে দেয় পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘের কাছে।

২০১৮ সালের ওই সমাবেশের পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সকল আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা বিশ্বের আস্থার স্থল হয়ে উঠেন মুহিবুল্লাহ।

মুহিবুল্লাহর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রকাশিত হতে থাকে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখতে আসা বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন মুহিবুল্লাহ।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার সরকারের জন্য এক চাপের নাম হয়ে উঠেছিলেন মুহিবুল্লাহ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের চালানো অমানবিক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরতেন তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন ফোরামেও রোহিঙ্গাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতেন মুহিবুল্লাহ।

২০১৮ সালে মুহিবুল্লার ডাকে মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সমাবেশ যোগ দিতে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। ছবি: এএফপি

একাধিক রোহিঙ্গা নেতা নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, মুহিবুল্লাহর স্বর ছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সরকার ও তাদের মিত্রদের জন্য বিব্রতকর। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্যও তিনি ছিলেন অস্বস্তির কারণ। বিশেষত, যেসব সংগঠন প্রত্যাবাসন বিরোধী ছিল। এদের মধ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বা আল ইয়াকিন অন্যতম।

রোহিঙ্গা নেতাদের বিশ্বাস, এই সন্ত্রাসী সংগঠনের কারণেই তাদের পিতৃভূমি ছাড়তে হয়েছে। এরা মিয়ানমার সরকারেরই পুতুল সংগঠন। মূলত কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় এই ছায়া সংগঠন দাঁড় করায় মিয়ানমার। পরে তাদের মাধ্যমে সীমান্ত চৌকিতে হামলার নাটক করে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ত্যাগে বাধ্য করে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

উখিয়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতারা মনে করেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আটকাতে এবং এই দাবির পক্ষের স্বর বন্ধ করতে আরসা বা আল ইয়াকিনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে।

অন্যদিকে গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা ব্লকের লোক হওয়ায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তার মাধ্যমে মিয়ানমারের অনেক নেতা ও সেনা কর্মকর্তার তথ্য পেতেন পশ্চিমারা। ফলে এটি মিয়ানমারের গোয়েন্দাদেরও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

তবে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ নম্বর ‘এপিবিএন’র পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

যেভাবে ঘটে হত্যাকাণ্ড

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারীরা কোনো সুযোগই দেয়নি মুহিবুল্লাহকে। পাঁচ রাউন্ড গুলি করলে তিন রাউন্ড গুলি সরাসরি তার বুকে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুহিবুল্লাহ।

মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উখিয়া কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পে এশার নামাজ শেষ করে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) অফিসে ছিলেন আমার ভাই। এ সময় ২০-২৫ জনের একটি বন্দুকধারী দল তার ওপরে হামলা চালায়। ওই অফিসে কর্মরত অন্যান্যদের মারধর করে ছেড়ে দিলেও ভাইয়ের বুকে গুলি চালায় মাস্টার আবদুর রহিম নামে এক সন্ত্রাসী।’

তিনি বলেন, ‘বন্দুকধারীদের এ দলে মাস্টার আব্দুর রহিম, মুর্শিদ, লালুসহ ২০ থেকে ২৫ জন আল ইয়াকিনের সদস্য ছিল।’

হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমার ভাই এগিয়ে আসতেন। তাদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছিলেন। শুধু এখানে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও আমার ভাইয়ের পরিচিতি ছিল। হয়তো ওই পথ বন্ধ করতেই তাকে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।’

হুমকি ছিল আগে থেকেই

নিজের কাজের জন্য কয়েক বছর ধরেই হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন মুহিবুল্লাহ। এমনটা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচডব্লিউও)।

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড বিষয়ক রিপোর্টে মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, ‘অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীদের গুলিতে কক্সবাজারের কতুপালং ক্যাম্পে নিহত হয়েছেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। বর্মী সেনাদের বর্বর অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখ রোহিঙ্গার অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অ্যাডভোকেসি করতেন তিনি।’

সংস্থার সাউথ এশিয়ান ডিরেক্টর মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি সব সময় তাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ ছিলেন। তার মৃত্যু শুধু রোহিঙ্গাদের অধিকারকে অবজ্ঞা করবে না, তাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগেও বিঘ্ন ঘটাবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য মহিবুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন, তার হত্যাকাণ্ড স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে স্বাধীনতার পক্ষে ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।’

মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডসহ ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।

মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহর মৃত্যুতে আমরা একজন প্রকৃত বন্ধুকে হারিয়েছি। তিনি সবসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতাকে স্বীকার করেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অধিকার চেয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে তদন্ত, বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করা উচিত বলেও মনে করেন মীনাক্ষী।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহ বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। এরা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আসার সময় অকল্পনীয় ক্ষতি এবং যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপরাধের নথিপত্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শরণার্থীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। মুহিবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে তার কাজের জন্য হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন।’

বিচার দাবি পশ্চিমা দূতদের

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। এদের অনেকে মুহিবুল্লাহকে ‘মানবাধিকারের অগ্রদূত’ আখ্যা দিয়ে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এক টুইটে লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের একজন সাহসী অগ্রদূত মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে আমরা শোকাহত ও বিচলিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ (সবার ডানে)।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন টুইট করেছেন, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত ও শোকাহত। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য এটি এক মর্মান্তিক ক্ষতি। আমার আন্তরিক সমবেদনা।’

বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে গেরার্ড ভেন লিউইন টুইটে লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও ব্যথিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

এদিকে ইইউয়ের ঢাকা কার্যালয় এক টুইটে লিখেছে, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে ইইউ মর্মাহত ও শোকাহত। তার পরিবার, বন্ধু ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য একটি মর্মান্তিক ক্ষতি। আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’

নিন্দা জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

বৃহস্পতিবার সংস্থাটির দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

এতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউএনএইচসিআর গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

‘আমরা শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’

বিশ্বের বৃহত্তম শিবিরটিতে নিজেদের লোকবল বাড়ানোর কথা জানিয়ে সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা এবং তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সরাসরি জানতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর