বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন কাউকে উঠতে দেয়া হবে না এসএম হলে

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৫৮

‘হলের বারান্দায় যদি কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করে তবে বড় আকারের কোনো দুর্ঘটনায় আমাদের পড়তে হবে। তাই এটি আমাদের সবচেয়ে বড় কনসার্ন। এই বারান্দায় যাতে শিক্ষার্থীদের না রাখতে হয় সে জন্য এই বছর থেকেই এই হলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেবো। একই সঙ্গে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে, এটিই বিশেষজ্ঞদের মতামত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দার ফাটল বড় হওয়ায় নতুন কোনো শিক্ষার্থীকে এ হলে বরাদ্দ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে হলটির ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি দেখতে উপাচার্য বেশ কয়েকটি হল পরিদর্শন করেন।

উপাচার্য বলেন, ‘হলটি খুবই ঝুঁকিতে আছে। আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদন মতে এই হলে যেই পরিমাণ রুম ও সিট রয়েছে এর বাইরে অতিরিক্ত (বারান্দায় শিক্ষার্থী রাখা) ধারণক্ষমতা নেই।

‘তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি যে এই হলে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীকে সংযুক্তি দেব না, যাতে হলটি হালকা রাখা যায় নচেৎ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।’

এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া ও হল প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হল প্রশাসন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, হলের বারান্দায় বা অন্যত্র ঠাসাঠাসি করে কোনো শিক্ষার্থী থাকবে না। আমরা সেটি কোনোক্রমেই গ্রহণ করব না যে কেউ ঝুঁকি নিয়ে বা ঠাসাঠাসি করে থাকবে।

‘হলের বারান্দায় যদি কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করে তবে বড় আকারের কোনো দুর্ঘটনায় আমাদের পড়তে হবে। তাই এটি আমাদের সবচেয়ে বড় কনসার্ন। এই বারান্দায় যাতে শিক্ষার্থীদের না রাখতে হয় সে জন্য এই বছর থেকেই এই হলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেবো। একই সঙ্গে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে, এটিই বিশেষজ্ঞদের মতামত।’

হলের প্রাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এখন আমরা বারান্দা খালি করছি। এসব বারান্দায় যেসব শিক্ষার্থী থাকত, তাদের আমরা রুমে সিট বরাদ্দ দেবো।’

তিনি বলেন, ‘যাদের ছাত্রত্ব শেষে তাদের সিট বাতিল করার ফলে এখন ২৫২টা সিট খালি হয়েছে। যারা এতদিন বারান্দায় থাকত, তাদের থেকে আমরা সিটের জন্য আবেদন গ্রহণ করছি। এখন পর্যন্ত একশটা আবেদন জমা পড়েছে। বাকিদেরও আমরা সিটেও আওতায় নিয়ে আসব।’

হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের বারান্দার ফাটল বড় হওয়ায় আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দার এ অংশ থেকে শিক্ষার্থীদের সব আসবাব সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর