তেলবাহী জাহাজের ধাক্কায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটি-৫-এ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এমটি গ্র্যান্ড এইচ-৮ নামে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি বৃহস্পতিবার জেটিতে নোঙর করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে জেটির চারটি পিলার, জাহাজ নোঙর করার ফেন্ডার, জেটির স্টিলের কাঠামো ভেঙে যায়। জেটিতে জ্বালানি তেলের পাইপলাইন নেটওয়ার্কও ভেঙে পড়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডলফিন জেটি-৫ এ মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জ্বালানি তেল লোড-আনলোড হয়। সকালে জাহাজটি জেটিতে নোঙর করার সময় সজোরে ধাক্কা দেয়। ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি তেল সংস্থা ইউনিপ্যাকের জাহাজটিতে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ডিজেল রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, জেটির ক্ষতির পরিমাণ জানতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষ এবং জাহাজটির স্থানীয় এজেন্টের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধারণা দিয়েছেন জেটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। পূর্ণ তদন্ত শেষে বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমরা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে লিখিত অভিযোগ করেছি। জাহাজটি বন্দর ত্যাগের আগে তাদের স্থানীয় শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে জেটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ এবং ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দাবি জানিয়েছি।’
বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হলো প্রাইড শিপিং লাইন। এই বিষয়ে জানতে প্রাইড শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।